ওইদিন বোন চায়না খাতুন বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। এই ডাইরী করার তিনদিন পর শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় কলিগ্রামের পদ্মা নদী থেকে রাজিব নামের স্কুল ছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ।
রাজিব হোসেনের পিতা আবদুর রাজ্জাক লেবারের কাজ ও মা আফরোজা বেগম ঢাকায় গার্মেন্সে চাকুরি করেন। রাজিব বাড়িতে নানির কাছে থেকে বাঘা ইসালামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপাড়া করে।
এ বিষয়ে তার বোন চায়না বেগম বলেন, আমার ছোট ভাই কিছুদনি আগে এনডোয়েড রেডমি ১০ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো। এই ফোনের জন্য আমার ভাইকে খুন করে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তার নানি সুরাজান বেগম বলেন, বাড়িতে কেউ থাকেনা। আমি মেয়ের বাড়ি থাকি আর নাতি রাজিবকে দেখাশুনা করি। নাতি লেখাপড়াতে ভাল। কিন্তু কোন কোন সময়ে ফোন কিনার পর তার বন্ধুদের সাথে এখানে সেখানে বিকেল হলেই ঘুরতে যায়। অন্যদিনের মতো বুধবার দুপুরের খাবার খাওয়ার পর বাড়ি থেকে বের হয়। আর ফিরে আসেনি।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তার গলায় দঁড়ি ছিল এবং মুখের মধ্যে দঁড়ি ঢোকানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।