শাহজাদপুরে অবৈধ গরু-ছাগলের হাট থেকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের নগরডালা সিএনজি গ্যারেজ সংলগ্ন করতোয়া নদী খননের স্তুপ করে রাখা বালুর চরে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বসানো হয়েছে বিরাট গরু ছাগলের হাট! সরকারি অনুমোদন ছাড়াই এ হাটে শতশত গরু ছাগল বিক্রি থেকে আদায়কৃত হাসিলের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় এতদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব; অন্যদিকে, অনুমোদন ছাড়াই এ হাটে শতশত গরু ছাগল বিক্রি হওয়ায় বিপুল অর্থ সরকারি কোষাগারে জমাদানকারী উপজেলার বৈধ গরু ছাগলের হাট ইজারাদার আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
বুধবার (৬ জুলাই) বিকেলে সরেজমিন সরকারি অনুমোদনবিহীন উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের নগরডালা বালুর চরের গরু-ছাগলের হাট পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী জানায়, কুমিরগোয়ালিয়া (নগরডালা) জামে মসজিদের উন্নতিকল্পে এ হাট বসানো হয়েছে । গত ৩ সপ্তাহ ধরে অনুমোদনবিহীন এ স্থানে গরু ছাগলের হাট চালু করা হয়েছে। এদিন হাটে প্রায় ৬-৭’শ গরু ছাগল বিক্রি হয় যার হাসিল গরুপ্রতি ক্রেতার ‘৬শ ও বিক্রেতার ‘১শসহ মোট ‘৭শ টাকা ও ছাগল প্রতি ক্রেতার নিকট থেকে ‘২শ ও বিক্রেতার নিকট থেকে ‘৫০ টাকা হাসিল আদায় করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কুমিরগোয়ালিয়া (নগরডালা) জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল খালেকের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান (বাচ্চু) জানান, ‘এলাকাবাসী এ হাট বসিয়েছে।’ সরকারি অনুমোদন ছাড়া এভাবে হাট বসানোর কোন বিধান আছে কি না?- তা জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
অন্যদিকে, এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন,’তারা একটি হাট বসানোর জন্য অবেদন করলে তা ডিসি অফিসে পাঠানো হয়েছে। এখনো হাটের অনুমোদন হয়নি। এ হাট তো বসানোর কথা নয়; আমি খোঁজ নিচ্ছি।’