লক্ষ্মীপুরে জমে উঠেনি পশুর হাটঃদুর্চিন্তায় খামারীরা।
পবিত্র ঈদ-উল আযাহার আর মাত্র ৫ দিন বাকি। তবে ঈদকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুর এখনো জমে উঠেনি পশুর হাটগুলো। বাজারগুলোতে একদিকে যেমন গরুর সংখ্যা কম; তেমনি নেই ক্রেতাদের আনা-গোনাও। তারপরও যারাই বাজারে আসছেন; দরদাম পরখ করে চলে যাচ্ছেন। সোমবার (৪ জুলাই) লক্ষ্মীপুর জেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বেশিরভাগ পশুর হাটই ছিলো ফাঁকা; ছিলো না ক্রেতা সমাগমও।
যদিও শহরের চেয়ে গ্রামের চিত্র কিছুটা ভিন্ন বলে জানা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা এবং বিভিন্ন বাজার কমিটির লোকজন মনে করছেন- দুয়েকদিনের মধ্যে লক্ষ্মীপুর জমে উঠবে কোরবানির পশুর হাট, চলবে জমজমাট বিক্রি।
বেশির ভাগ দেখা গেছে বাজার ইজারাদার দের ইচ্ছে মতো হাসলি আদায়ের কারনে গরু দেখে পছন্দ করে দর দাম করে বিক্রেতার বাড়ি থেকে বা বাজার এরিয়ার বাহিরে থেকে গরু নিচ্ছে ক্রেতারা ।
আগামী ১০ জুলাই পবিত্র ঈদ উল আযহা অনুষ্ঠিত হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলাতে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে স্থায়ী এবং অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে গরু আসতে শুরু করেছে। যদিও এর সংখ্যাটা তুলনামূলক অনেক কম। এসব বাজারে দরদাম পরখ করতে আসছেন ক্রেতারা। তবে বাজার থেকে পশু ক্রয়ের প্রতি তাদের ঝোঁক অনেক কম। বাজারে দরদাম জেনে কিছুটা ধারণা নিয়ে রাখছেন । ক্রেতাদের পাশাপাশি বিক্রেতারাও যাচাই করে নিচ্ছেন বাজার।
সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার ইমামগঞ্জ নাগের হাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রায়পুর উপজেলার মোল্লা হাট-বাজার বাজারটিতে গরুর সংখ্যা খুবই কম। ফাঁকা মাঠে অল্প কয়েকজন গৃহস্ত ও ব্যবসায়ী তাদের গরু নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। তারপরও যারা আসছেন, গরু দেখে দরদাম জিজ্ঞেস চলে যাচ্ছেন। ফলে অনেক বিক্রেতার চোখে-মুখেই ফুটে উঠেছে হতাশা।
একি দৃশ্য দেখা গেছে রায়পুর উপজেলা মীরগঞ্জ বাজারেও । যদিও ক্রেতাদের অভিযোগ বিক্রেতারা গরুর দাম হাঁকছেন অনেক বেশি । বাজার ইজারাদার রাও নিচ্ছে ইচ্ছে মতো হাসলি। রামগঞ্জ থেকে গরু কিনতে যাওয়া কামাল হোসেন বলেন, ভেবেছিলাম বাজার জমে উঠেছে। কিন্তু এসে দেখি মাঠ ফাঁকা। যে কয়েকটি গরু আছে, বিক্রেতারা দাম হাঁকছেন আকাশচুম্বি। এতো দামের কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।