গ্রেপ্তার এমরান রামগঞ্জ পৌরসভার কাজীরখীল গ্রামের আখন্দ বাড়ির বেলাল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৩ জুন চাটখিল থেকে নোয়াখালী পরিবর্তে এক গৃহবধূ ভুলে রামগঞ্জগামী জননী পরিবহণে উঠেন। রামগঞ্জ বাসটার্মিনালে আসলে তিনি বাসের সুপার ভাইজারকে বিষয়টি বলেন। পরে সুপারভাইজার তাকে চট্টগ্রামগামী নীলাচল বাসে বসতে বলেন। এ সুযোগে বাসের সহকারীর আজাদ হোসেন ও এমরান হোসেনসহ ৩ জন ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এই সময় তার চিৎকারে বাজারের নৈশপ্রহরী মো. শাহজাহান ছুটে আসলে আজাদ ছাড়া অন্য দুইজন পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজনও এগিয়ে আসে। হঠাৎ নৈশপ্রহরী শাহজাহানের বুকে ব্যাথা উঠলে হাসপাতাল নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাস সহকারী আজাদকে আটক করে। পরে গৃহবধূ বাদী হয়ে আজাদ ও এমরানসহ ৩ জনের নামে রামগঞ্জ থানায় ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন আজাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এই দিকে প্রায় ১ এক মাস পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিবাকর রায়সহ পুলিশ সদস্যারা চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং থানা এলাকায় অভিযানে যায়। সেখানে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে এমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, আসামি এমরান দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে