ডিমলায় নিষিদ্ধ জাল দিয়ে দেশী প্রজাতির মাছ নিধন।
নীলফামারীর ডিমলার দশটি ইউনিয়নের বিভিন্ন জলাশয়, খাল-বিলে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী কারেন্ট জাল দিয়ে চলছে অবাধে দেশী প্রজাতির মাছ নিধন। এসব জালে ছোট ছোট দেশী প্রজাতির মাছ অবাধে নিধন হচ্ছে ।
এতে দেশি নানা প্রজাতির মাছ অবাধ বিচরন ও হারিয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহলের ব্যক্তিরা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে কোন ভ‚মিকা নেই বলে অভিযোগ তাদের। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি হাট-বাজার থেকে জাল ব্যবসায়ীদের নিকট পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা উচ্চদরে এই নিষিদ্ধ জাল ক্রয় করে জলাশয়,খাল-বিলে দিয়ে দেশি প্রজাতির মাছ নিধন করেছেন।
সরেজমিনে জলাশয়ে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সর্বত্র এলাকায় নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী কারেন্ট জাল দিয়ে দেশি মাছের নিধনে অবাধ ব্যবহার। লোহার রডের চর্তুভুজ ও গোলাকার আকৃতির কাঠামোর চারপাশে জাল দিয়ে মোড়ানো এই ফাঁদ।
এক একটি জালের দৈর্ঘ্য ৫০ থেকে ৮০ হাত পর্যন্ত। অধিক আয়ের উৎস হওয়ায় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি জলাশয়, খাল-বিলে এই জাল দিয়ে দেশি প্রজাতির মাছ নিধন করছে। মাছ বেশি ধরা পড়ায় স্বল্প পরিশ্রমে স্থানীয় মাছ শিকারীদের কাছে নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়।
উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সহিদুল ইসলাম জানান, এই জাল দিয়ে মাছ ধরলে ভবিষ্যতে খাল-বিলে দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া যাবে না। এই জাল খুবই ভয়ংকর ! দেশী ছোট মাছ নয় এর সাথে আটকা পড়ছে অন্যান্য প্রজাতির মাছও।
গত ১৭ মে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমান আদালত ডিমলা বাবুরহাট বাজারে বিভিন্ন জাল ব্যবসায়ীর দোকানে অভিযান পরিচালনার সময় একজন ব্যবসায়ীর গোডাউন হতে ২০০ মিটার নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দসহ ঐ ব্যবসায়ীকে মৎস্য সংরক্ষন ১৯৫০ সালের আইন মোতাবেক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করলেও স্থানীয় বাজারে জাল ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে ও গোপনে মাছ শিকারীদের কাছে এই জাল বিক্রি করে আসছে।
ডিমলা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) আগুরি বেগম জানান, আমার প্রচার চালিয়েছি । অভিযান অব্যাহত আছে । কেই যদি এই ধরনের জাল বিক্রি বা ব্যবহার করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।