বদলগাছীর মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান মোঃ মাসুদ রানার বিরুদ্ধে জেলা প্রাশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তিনি ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই তিনি সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ণমূলক কাজ করেন।
চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন,আমি মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকাবাসী আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ করে বলেন ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল কেন্দ্রের নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানা সরকারী নিয়ম-নীতি কে তোয়াক্কা না করে জন্ম নিবন্ধনের ফি ২০০-৩০০ শত টাকা করে নেন।
আমি বিষয়টি আমলে নিয়ে তাকে সর্তক করি যাতে বেশী টাকা না নেওয়া হয়।এরপর ও আমার কথা না মেনে অতিরিক্ত টাকা নিতে থাকলে আমি ঘোষনা দেই জন্ম নিবন্ধন ফি ৫০ টাকা এবং আবেদন ফি ৩০ টাকা যা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং রুমে আবেদন করতে পারবেন। এরপর থেকে সাধারণ জনগণ নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানার কাছে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য যায় না তখন থেকেই নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে।নারী উদ্দোক্তা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট। আমি ভিলেজ পলিটিক্সের শ্বিকার।
তিনি আরও জানান ঐ মহিলার কাছে আমি ২লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছি তা অবাস্তব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যাক্তি বলেন আমরা জন্ম সনদ নিতে গেলে জাকিয়া সুলতানা অতিরিক্ত টাকা নিতো এবং আমরা হয়রানি শিকার হতে হয়েছে।
ইউপি সদস্য পরিমল চন্দ্র বলেন,আমি দূর্ঘ্য ২৫ বছর থেকে ইউপি সদস্য আছি গত চেয়ারম্যান আমলে আমার এলাকার জনগণের কাছ থেকে নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানা অতিরিক্ত টাকা নিলে আমি তাকে নিষেধ করি এবং গত চেয়ারম্যানের কাছে তার কথা বলেছি চেয়ারম্যান কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।কিন্তুু বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদ রানা দায়িত্ব পাবার পর জনগণ নারী উদ্দোক্তা জাকিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা এবং হয়রানির কথা মৌখিক অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান প্রথমে নিষেধ করে।কিন্তু সে কোন কথা শোনেনি তাই চেয়ারম্যান জনগণের কথা ভেবে জন্ম নিবন্ধন ফি ৫০ টাকা এবং আবেদন ফি ৩০ টাকা ঘোষণা দেন।এর পর থেকেই ঐ নারী উদ্দোক্তা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে।নারী উদ্দোক্তা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা বানোয়াট বলে আমি মনে করি।মথুরাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউলের অভিন্ন বক্তব্য দেন৷
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় প্রায় একই চিত্র এবং ওয়ালে দেখা যায় পোস্টার যেখানে লেখা আছে জন্ম নিবন্ধন ফি ৫০টাকা ও আবেদন ফি ৩০ টাকা যা ২ নং রুমে যোগাযোগ করুন।
ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মুদিদোকান মোঃ বাচ্চু হোসেন বলেন ঐ উদোক্তা টাকা ছাড়া কিছু্ই বোঝেন না ৷আরো কয়েকজন এলাকাবাসী একই অভিযোগ করেন ঐ নারী উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে৷
মথুরাপুর ইউনিয়ের বাসিন্দা শিক্ষক সামসুল একবাক্যেই বলেন ঐ মহিলা বহুরূপী আর মাসুদ চেয়ারম্যান একজন সৎ শিক্ষিত ও বিনয়ী মানুষ ৷তার বিরুদ্ধে এগুলো অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয় ৷
এ বিষয়ে জাকিয়া সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এখন কিছু বলতে পারবোনা আমি বিভিন্ন দপ্তর বরাবর অভিযোগপত্র দিয়েছি দেখি সে গুলোতে ব্যবস্থা কি হয়।