আলেমদের দুর্নীতির তালিকা দেয় কোন হরিদাস পালরা- বাবলা এমপি।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, দুঃখ লাগে কোথাকার কোন হরিদাস পালরা এসে গণকমিশনের নাম করে বাংলাদেশের ধর্মীয় নেতাদের দুর্নীতি খোঁজার জন্য দুদকে তালিকা দেয়। আমি ওই হরিদাস পালদের বলব সবকিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। সবকিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি ভালো না। আগুনে ঘি ঢালার চেষ্টা করবেন না। কে সাধু আর কে অসাধু বাংলাদেশের সব মানুষ তা জানে। যদি সাহস থাকে যারা দেশের মানুষের লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে পারলে সেই তালিকা প্রকাশ করে দেখান এবং সেই তালিকা দুদককে দেন।
সরকার, দুদক এবং দেশের জনগণ আপনাদের সাধুবাদ জানাবে। কিছু মাওলানা সবার আগে গিয়ে শত শত পোড়া মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। ইস্কনের পক্ষ থেকে ইস্কনের প্রভুরা গিয়ে রক্ত দান করেছেন। এটিই আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশের চিত্র। এই বাংলাদেশ নিয়েই আমরা অহঙ্কার করি। সোমবার (৬ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বাবলা বলেন, গত দুই দিন ধরে বাংলাদেশের সব মানুষ শোকাহত, বিমর্ষ, মর্মাহত। আমরা বাংলাদেশের কোনো মানুষ সীতাকুণ্ড ট্রাজেডির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। হঠাৎ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা হারিয়ে ফেলেছি অনেক তাজা প্রাণ। শত শত মানুষ হারিয়েছে তাদের অঙ্গ। কী নিষ্ঠুর। কী ভয়াবহ। আমরা এই ঘটনাকে শুধু দুর্ঘটনা বলে স্বান্তনা নেব? না কি এর পেছনে কোনো নাশকতা রয়েছে? নিশ্চয়ই সরকার তা তদন্ত করে বের করবে বলে আশা রাখি। যদিও কোনো তদন্তের আলোর মুখ আমরা দেখি না। এই দুর্ঘটনার পর অনেক প্রশ্ন সামনে আসছে। খবরের কাগজের, টেলিভিশনের পর্দায়, সোশ্যাল মিডিয়ার অনেকেই প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসছেন। আমরা যারা রাজনীতি করি তারা নানারকম কথা বলছি। সরকারের পক্ষের লোকের কাছে সব পজিটিভ আর বিরোধী পক্ষের লোকের কাছে সব বক্তব্য আসছে নেগেটিভ। আমি পজিটিভ-নেগেটিভ কোনো কথাই বলতে চাই না। আপনার মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে শুধু দুটি প্রশ্ন রাখতে চাই। একটি জনবহুল এলাকাতে কীভাবে ডিপোর মধ্যে রাসায়নিক দ্রব্য থাকে? সেই প্রশ্ন আজ পুরো দেশবাসীর।
আমরা যখন ৬ লাখ কোটি টাকা বাজেট পেশ করি তারপরও কেন ফায়ার সার্ভিসের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি আমরা আনতে পারি না?
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে আমরা যখন দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পদ্মা সেতুর মতো সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প সম্পন্ন করি, তখন বিশ্বের দরবারে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।
এটা চিরন্তন সত্য। বিশ্ব গণমাধ্যমে আমাদেরকে নিয়ে প্রশংসা করে খবর প্রকাশিত হয়। তার বিপরীতে সীতাকুণ্ড ট্রাজেডিতে যখন আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয় তখন সেই লজ্জা আমরা রাখি কোথায়? আমরা যদি ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের হাতে আধুনিক অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র তুলে দিতে পারতাম তাহলে এই বিষয়টা হয়ত পজিটিভভাবে বিশ্ব গণমাধ্যমে আসত। কিন্তু তা তো হলো না, আমরা সরকারকে বলব দেশের কল্যাণে যত প্রকল্প করার দরকার করুন। কিন্তু সঙ্কট মোকাবিলায় যোজন যোজন দূরে আমরা যে পিছিয়ে আছি তা এই আগুন দেখিয়ে দিয়ে গেছে।