নলডাঙ্গা পৌরসভার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী-কাজ বন্ধ করালেন মেয়র।
নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক উন্নয়নে নিম্নমানের ইটের ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দিলেন পৌরসভার মেয়র।গত শনিবার বিকালে পৌরসভার ১ নম্বর ওর্য়াডে সড়ক সিসি ও এইচবিবি করন,৪ নম্বর ওর্যাডে সোনাপাতিল নতুন মসজিদের সড়ক সিসি ও এইচবিবি করন ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হালতি বিলের সড়কে ঢালাই ও ঢালাই সড়কে দুই পাশে ইটের এইচবিবি করনে নিম্নমানের ইট ও সামগ্রীর ব্যবহার করায় পরিদর্শনে গিয়ে চলমান এসব কাজ বন্ধ করে দেন পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির।
ব্যবহৃত ইট ও অন্য সামগ্রী যাচাই বাছাই ও পরীক্ষার পর আবার কাজ শুরু হবে বলে জানান মেয়র।এর আগে এসব কাজে স্থানীয়দের অভিযোগে তিন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে সিডিউল মোতাবেক কাজ করার জন্য সতর্ক করে চিঠি দিয়েছিলেন পৌর কর্তপক্ষ।
পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,২০২১-২০২২ অর্থ বছরের গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওয়াতায় কয়েকটি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করা হয়।পৌরসভার ১ নম্বর ওর্য়াডের কয়েকটি স্থানের ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯৪৪ টাকা ব্যায়ে সড়ক সিসি ও এইচবিবি করনের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস শাওন এন্টারপ্রাইজ ঠিকারদার জিল্লুর রহমান।এ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে দেখা যায়, সড়কের উপরে কিছু ভালো ইট থাকলেও নিচে ছিল নিম্নমানের ইট। ৪ নম্বর ওর্যাডে ৪ লাখ ৭১ হাজার ৪৫৩ টাকা ব্যায়ে সোনাপাতিল নতুন মসজিদের সড়ক সিসি ও এইচবিবি করন কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস আনোয়ার ট্রেডার্স ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬০২ টাকা ব্যায়ে হালতি বিলের সড়কে ঢালাই ও ঢালাই সড়কে দুই পাশে ইটের এইচবিবি করণ ও আব্বাসের বাড়ির সড়ক সিসি করন কাজ পায় ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান মের্সাস তাছমিন এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদার মঞ্জুর আলম।
হালতি বিলের এ সড়কে ঢালাই ও ঢালাই সড়কে দুই পাশে ইটের এইচবিবি করণে নিম্নমানের ইট সামগ্রীর ব্যবহার করায় চলমান এ কাজে দরপত্রের সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করায় পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির বন্ধ করে কাজে নিয়েজিত শ্রমিকদের উঠিয়ে দেয়। এর আগে এসব কাজে স্থানীয়দের অভিযোগে এ তিন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে সিডিউল মোতাবেক কাজ করার জন্য সতর্ক করে চিঠি দিয়েছিলেন পৌর কর্তপক্ষ।
ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান মের্সাস তাছনিম এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার মঞ্জুর আলম নিম্নমানের ইটের ব্যবহারের কাজ বন্ধ করার কথা স্বীকার করে বলেন,এক নম্বর ইটের মধ্যে কিছু মিঠা (নিম্নমানের) ইট ছিল,সেগুলো বাছাই করে অপসারন করে ভালো মানের ইট দিয়ে কাজ করবো। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস শাওন এন্টারপ্রাইজ ঠিকারদার জিল্লুর রহমান ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস আনোয়ার ট্রেডার্স ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন বলেন,আমার প্রকল্পের কাজ নিম্নমানের ইট, সিমেন্ট ও বালু নিম্নমানের অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে মেয়র। সিডিউল মোতাবেক কাজ করার জন্য চিঠি দিয়েছে।আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো।
নলডাঙ্গা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন,এসব প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় ওই তিন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের যেসব সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে, তা অপসারণ করতে বলা হয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে ঠিকাদারদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
নলডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনির বলেন,টেকসই উন্নয়নে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশনা সব সময় দিয়ে আসছি।এমনকি দরপত্রের সিডিউল মোতাবেক কাজ করার জন্য চিঠিও দিয়ে যখন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শুনছে না,তখন আমি নিজে প্রতিটি কাজ পরির্দশনে গিয়ে সত্যতা মিললে এই তিন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চলমান কাজ সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।