রবিবার (২৯ মে ২২) বিকাল ৪টায় হাইকোর্টের আপিল বিভাগে তার প্রার্থিতা বহাল রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছেন।
বিচারপতি মুহাম্মদ খসরুজ্জামান এবং মুহাম্মদ ইকবাল কবীরের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ-১৫, এনেক্স-এ শুনানি শেষে আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। মাওলানা আরিফ উল্লাহর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খায়ের এজাজ মাসুদ ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মুসা।
মাওলানা মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ১৭ মে যাচাই-বাছাইকালে আয়করের রশিদ জমা না দেওয়ার অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওলানা আরিফ উল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আরিফ উল্লাহর পক্ষে আবেদন করা হলেও প্রথমে মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ বহাল রেখে আপিলটি খারিজ করে দেন আদালত। পরে মনোনয়ন ফিরে পেতে ফের রিট করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারপতি মুহাম্মদ খসরুজ্জামান এবং মুহাম্মদ ইকবাল কবীরের যৌথ বেঞ্চ তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন। একই সাথে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে রির্টানিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুত্রে জানা যায়, আগামী ১৫ জুন বাঁশখালী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে গণ্ডামারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল আলম জানান, উচ্চ আদালত থেকে মাওলানা আরিফ উল্লাহর প্রার্থিতা বহালের নোটিশ এখনও আমার কাছে পৌছায়নি। নোটিশ পৌঁছালে মাওলানা আরিফ উল্লাহকে প্রতীক দেওয়া হবে।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আরিফ উল্লাহ চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিকে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা গণ্ডামারা এলাকাবাসীর দোয়ায় আমি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। গণ্ডামারাবাসীর কাছ থেকে কেউ আমাকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।