নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ডিমলায় তামাক চাষমুক্ত করার লক্ষ্যে তামাক চাষীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৯ মে) সকাল ১০টায় দশটি ইউনিয়নের কৃষক কৃষানীদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্তর থেকে র্যালীটি বের হয়ে শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ হলরুমে মিলিত হয়। উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভায় কৃষি সম্প্রসারন অফিসার কৃষিবীদ সহিদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় সভাপত্বি করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্র নাথ রায়, অফিসার ইনচার্জ মোঃ লাইছুর রহমান, উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তাগন, স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ দশটি ইউনিয়নের কৃষক-কৃষানীরা। আলোচনা সভায় কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, উপজেলায় প্রায় ৩০০ কৃষক তামাক চাষ করে, তামাক চাষকে না বলি তেল ফসলের আবাদ করি। তামাক চাষ স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ তাই তামাক চাষে কৃষক-কৃষানীদের নিরুসাহিত করতে উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তাগন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, ডিমলা উপজেলাকে তামাক চাষমুক্ত উপজেলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আজকের এই র্যালী ও আলোচনা সভা আশা করি কৃষক-কৃষানীরা তামাক চাষ পরিহার করবে এবং তামাকের পরিবর্তে ধান, গম, ভ‚ট্টা, পাট সহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদে আগ্রহী হবে।
নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, “কৃষিই সমৃদ্ধি” এই শ্লোগান কে সামনে রেখে তামাক চাষে কৃষক-কৃষানীদের নিরুসাহিত করতে হবে, বিকল্প ফসল চাষে আগ্রহ তৈরী করতে হবে, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের সরকারী নানা সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দেন তিনি।