বাঘায় সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগের পর ঠিকাদারের পাল্টা অভিযোগ।
রাজশাহীর বাঘায় সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আবদুল কুদ্দুস নামের এক ঠিকাদার এই হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক আখতার রহমান বাদি হয়ে রাতে থানায় অভিযোগ করেন। আখতার রহমান এশিয়ান টেলিভিশনের রাজশাহী স্টাফ রির্পোটার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
অপর দিকে ঠিকাদার আবদুল কুদ্দুসের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে মর্মে, শুক্রবার রাতে থানায় অভিযোগ করেন। আবদুল কুদ্দুস বাঘা পৌর আ.লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক আখতার রহমান জানান, উপজেলার হরিনা মাষ্টার পাড়া গ্রামে মহসিনের বাড়ি থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলীর বাড়ি পর্যন্ত ৩১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৫৯ টাকা মূল্যো রাস্তা সংস্কারের কাজ করছিলেন ঠিকাদার আবদুল কুদ্দুস। রাস্তার কাজ নিন্মমানের হচ্ছে মর্মে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে ওই স্থানে তদন্ত করতে যায়।
সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ফিরে উপজেলা সদরের সামনে পৌঁছলে বিকেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেন ঠিকাদার। তবে আমার বিরদ্ধে আবদুল কুদ্দুস থানার করা অভিযোগে যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে, সেই সময় আমি চারঘাটের ভায়ালক্ষীপুর গ্রামে একটি সংবাদ সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলাম। তার করা অভিযোগটি ভিক্তিহীন দাবি করেন সাংবাদিক আখতার রহমান।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আবদুল কুদ্দুস জানান, আমি ঠিকাদারি ব্যবসা করি। আমার একটি সাইডে কাজ চলছে। যা আমি সিডিউল অনুসারে করছি। এক সাংবাদিক সেখানে গিয়ে ছবি তুলেন এবং শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ করে। আমি ফোনে সরাসরি দেখা করে বিস্তারিত তার সাথে কথা বলতে চাই। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর আডাই টার দিকে আমার পুরাতন বাড়িতে এসে ভুল ত্রুটির কথা উল্লেখ করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তবে সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন, সেটা বানোয়াট ও ভৃত্তিহীন।
উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার জানান, সানফ্লাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশনের কাছে থেকে স্থানীয় ঠিকাদার আবদুল কুদ্দস ক্রয় করে রাস্তার কাজটি করছেন। নিম্মা মানের হওয়ায় কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে শুনেছি এক সাংবাদিকের সাথে ঠিকাদারের মতবিরোধ হয়েছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, সাংবাদিক অভিযোগ দেওয়ার পরের দিন শুক্রবার রাতে ঠিকাদার অভিযোগ দিয়েছেন। দুটি অভিযোগ তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।