লক্ষ্মীপুরে ডাক্তার ফয়েজ অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন মির্জাপুর গ্রামের মৃত হামিদ উল্যা ভুঁইয়ার ছেলে ফয়েজ আহম্মদ ভুঁইয়ার অত্যাচারে এলাকার নিরিহ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। কথায় কথায় মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করা, ভূয়া অযুহাতে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ উঠেছে।
ফয়েজ ভুঁইয়ার পেশায় ডাক্তার হলেও তার আচরণ অত্যন্ত বাজে এবং অসামাজিক বলে জানান এলাকাবাসী।
একি বাড়ির নুর মোহাম্মদ ভুঁইয়া জানান, ফয়েজ শিক্ষিত হলেও তার আচার আচরণ অনেক খারাপ তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ, আমরা তার থেকে মুক্তি চাই। মাহবুব ভুঁইয়া জানান, কোন কিছু হলেই যাচাই বাছাই ছাড়াই মানুষের দোষ দেওয়া তার স্বভাব। মোহাম্মদ রিয়াদ ভূঁইয়া, অহিদুজ্জামান ভূঁইয়া সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন ফয়েজ ভূঁইয়ার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি । কথায় কথায় মামলার হুমকি। গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে আসে ।
তার পুকুরের পানিতে গ্যাস হয়েছে, কিছু মাছ মারা গিয়েছে, এখনো ছোট বড় অনেক মাছ আছে । কিন্তু সে একেকবার একেক জনকে দোষারোপ করতেছে। তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারা হয়েছে বলে দাবি করে একের পর এক সবাই কে দোষী করে । এই জন্য সে তার ভাতিজা জাকির গং দের বিরুদ্ধে ১০দশ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা করেছে। কিন্তু পুকুরে বিষ প্রয়োগ করা হতো তাহলে তার পুকুরের সমস্ত মাছ মারা যেত কিন্তু সে পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে একের পর এক একজনের উপর দোষ চাপাচ্ছে মামলা দিয়ে তার ভাতিজা ওদেরকে হয়রানি করছে।
একি বাড়ির সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস ভূঁইয়া( সুমন ) বলেন ফয়েজ ভূঁইয়ার সম্পর্কে কি বলবো । তার সাথে বাড়ির কারো সাথে ভালো সম্পর্ক নেই সে সবার সাথে যায় ঝামেলা করে শিক্ষিত লোক হিসেবে সে তার সম্মান ধরে রাখতে পারে নাই । সবুজ ভুঁইয়ার বউ জানান, কথায় কথায় মানুষকে মামলার ভয় দেখায়।
অবৈধ বৈদ্যুতিক লাইন দিয়ে মোটর, এয়ারেটর চালায়।
তার কারনে পুকুরের পাড়ে মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে।
আমরা তার থেকে নিস্তার চাই।
আবুল ফয়েজ ভুঁইয়ার নানান অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার আপন ভাতিজা জাকির হোসেন ২৪ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বাড়ির মহিলাদের গোসলের স্থানে বহিরাগত নিয়ে আড্ডাবাজির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে জানতে বর্তমান ইউপি সদস্য রফিক উল্যাকে ফোন করলে তিনি জানান, ফয়েজ শিক্ষিত মানুষ, বাড়িতে ভেজাল করে কাউকে মানে না।
এবিষয়ে জানতে ফয়েজ আহম্মদ কে ফোন করা হলে তিনি বলেন সাংবাদিকের এখানে কি কাজ, এই কথা বলে ফোন কেটে দেন।অচিরেই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তার ভাতিজা মঞ্জুর।