লক্ষ্মীপুর মাতৃমঙ্গল থেকে প্রসূতিকে বাহিরে,রাস্তায় সন্তান প্রসব, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
লক্ষ্মীপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের (মাতৃমঙ্গল) সামনের রাস্তায় প্রসূতি শিল্পি আক্তারের সন্তান প্রসবের ঘটনায় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটির প্রধান জেলা পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে প্রতিবেদনে কি প্রমাণিত বা উল্লেখ করা হয়েছে, তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এই দিকে সোমবার (২৩ মে) সকালে সদর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ডেকে নিয়ে ভূক্তভোগীর প্রসূতির মা নুরজাহান বেগম ও ভাবি রেশমা আক্তারের বক্তব্য শোনেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রসূতির মামাতো বোন রুনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগ সূত্র জানায়, ১৮ মে রাতেই পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জেলা কনসালটেন্ট ডা. আক্তার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমটির অন্যরা ছিলেন সদর উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা নাজমুল হাসান ও কমলনগর উপজেলার কর্মকর্তা সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন।
শিল্পির মামাতো বোন রুনা আক্তার জানান, সোমবার সকালে সদর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে শিল্পির মা ও ভাবিকে ডেকে নেওয়া হয়। পরে তারা পুরো ঘটনাটি বলে। এরপর চিকিৎসক আক্তার হোসেনসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. আক্তার হোসেন বলেন, তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্য দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. আশফাকুর রহমান মামুন জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে কী উল্লেখ করা হয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ১৮ মে সন্ধ্যায় সদর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে প্রসূতি শিল্পি আক্তারকে বের দেওয়ার অভিযোগ উঠে। অনুনয় বিনয় করলেও ওই কেন্দ্রের আয়া শারমিন আক্তার প্রসূতিকে রাখতে রাজি হয়নি। এতে কেন্দ্রের সামনের রাস্তাতেই প্রসূতি একটি ছেলে শিশুর জন্ম দেয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শিল্পি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সমসেরাবাদের জোড়দিঘিরপাড় এলাকার ফল দোকানের শ্রমিক আজগর হোসেনের স্ত্রী।