ভিক্ষাবৃত্তি নয় যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি চাই-প্রতিবন্ধী শাহিদা
বিগত সালে প্রতিবন্ধী শাহিদা কে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন করলে, প্রতিবেদনটি দেশ বিদেশের অজস্র মানুষের নজরে আসে।
এতে অনেকেই কিছু কিছু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। যা জীবন বাঁচাতে অপ্রতুল। সাহায্য দেবার আড়ালে কেউ কেউ অনলাইনে প্রতারণাও করেছে বেশ কয়েকবার। সর্বশেষ ‘নেটেলার টাংগাইল ঢাকা নামীয় আইডি হতে প্রতারণার ফাঁদ পেতে ছিল। যার মোবাইল নম্বর ০১৩০৭০১৩৭০৮/ ০১৭৯৪৮৯১৭৭৭। যা শাহিদার ফেসবুক আইডি হতে পাওয়া।
প্রকাশ থাকে যে, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে গ্রাম সানন্দবাড়ী লম্বাপাড়া। একটি হত দরিদ্র পরিবার মৃত ছফর আলীর সহধর্মীনি শামেলা বেগম, যার বড় মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিদা আক্তার বিএ (২৮), মানষিক প্রতিবন্ধী বাবুল (২৫) ও একমাত্র উপার্জনক্ষম লাভলুকে (২৩) নিয়ে চলে সংসার।
শারীরিক প্রতিবন্ধী শাহিদা বলেন- আমি ভিক্ষা চাইনা। আমার চাকরী করার সকল যোগ্যতা আছে। আমার মাথা ঠিক আছে, আমি কম্পিউটারের কাজ জানি, আমি চাকরী চাই, আমি চাই না কেউ আমার জন্য ভিক্ষার হাত বাড়াক।
জানা যায়, শারীরিক প্রতিবন্ধি শাহিদা সানন্দবাড়ী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় হতে ২০১০ সালে এসএসসি পাশ করেন। ২০১২ সালে সানন্দবাড়ী ডিগ্রী কলেজ হতে এইচএসসি ও ২০১৭ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। সেই সাথে কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ছ’মাস মেয়াদী কম্পিউটার কোর্স সম্পন্ন করেন।
শাহিদা জানান- আপনারা নিউজ প্রকাশ করার পর কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড এর পক্ষ থেকে একটা কম্পিউটার কিনে দিয়ে ছিলো কিন্তু ঘরের চালা ভালো না থাকায় বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন- চাকুরী করার মতো আমার কি যোগ্যতা নেই? অনেক স্বল্প শিক্ষিত লোকজনও চাকরি করে, তবে বিএ পাস করে আমি কেন চাকরি পাবোনা? আমার কি চাকরি করার অধিকার নেই? তাহলে আমি কোন দেশে বাস করি? কেমন দেশে বাসকরি? সে বাংলাদেশ সরকার ও সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নিকট জোড়ালো দাবী জানান।
ইহা বলেই সে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দু, চোখে বৃষ্টির ফোটার মত জল গড়িয়ে পড়তে থাকে।