আকস্মিক বন্যায় গুদামের ধান-চাল ভিজে নষ্ট-কোটি টাকার ক্ষতি।
আকস্মিক বন্যার কারণে গুদামে রাখা ধান-চালের বস্তা ভিজে নষ্ট হয়ে কোটি টাকার লোকসানে মিল মালিক ও আড়তদাররা, এবারের বন্যায় সিলেটে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব জানে না জেলা প্রশাসন।
তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পারেন সেই লক্ষ্যেকে কাজ করেছে সিলেট জেলা প্রশাসন।
সিলেটের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ না জানার কারণ হিসেবে সিলেট জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, বন্যার্ত মানুষ যাতে নিরাপদ আশ্রয় পান এবং তাদের খাদ্য, চিকিৎসা যাতে সঠিকভাবে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা। বন্যা প্লাবিত সকল উপজেলা একযোগে এ কাজ চলছে। যার কারণে সরকারি, ব্যসরকারী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে এখনও কাজ শুরু করা হয়নি বলেন তারা।
রবিবার ২২ মে ২০২২ ইং, সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান বলেন, এখনও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করিনি। তাই এর পরিমাণ সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। তবে এ নিয়ে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। বন্যায় যে সিলেটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এবারের বন্যায় ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে সিলেটের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষদের। বন্যার পানিতে সিলেট নগরের সুরমা নদী তীরবর্তী ধান-চালের মিল ও আড়তে গুদামজাত করে রাখা কোটি কোটি টাকার ধান-চাল নষ্ট হয়েছে। খামারিরাও পালিত গরু-ছাগল নিয়ে পড়েছেন ব্যাপক বিপাকে।
সিলেট নগরীর কাজিরবাজার ধান-চালের মিল মালিক ও আড়তদাররা জানান, এবারের বন্যায় বেশিরভাগ গুদামেই ছিল কোমর পানি। গুদামে রাখা ধান-চালের বস্তা ভিজে নষ্ট হয়েছে। আকস্মিক বন্যার কারণে আড়তদাররা ধান-চালের বস্তা সরানোর সময় পাননি। ফলে কোটি টাকার লোকসানে পড়েছেন তারা।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সিলেট জেলায় মোট ৩৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের খাবার ও ওষুধপত্র ঠিক মতো পৌঁছানো হচ্ছে কি না তা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। বন্যায় প্লাবিত প্রত্যেকটি উপজেলায়ই এ নিয়ে কাজ চলছে।
আরো বলেন, মনিটরিং সূত্রে কোন যায়গা অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা আমরা কখনোই ছাড় দিব না।
Post Views: 216