উল্লাপাড়ায় অপহৃত মনিরুলকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার,গ্রেফতার-১।
উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় শনিবার(২১ মে) গভীর রাতে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের পূর্বসাতবাড়িয়া গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন এলাকার ব্রীজের নীচ থেকে অপহরণ হওয়া মনিরুল ইসলাম (২৩)কে উদ্ধার করা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের কাজিপাড়া (বাগানপাড়া)গ্রামের মোঃআব্দুর রহিমের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায় গত শুক্রোবার (২০ মে)সন্ধায় একই ইউনিয়নের বেতকান্দি গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রাসেল রানা তার সহযোগীদে সহায়তায় মোবাইলে গেম খেলা অবস্থায় বাড়ির পাশ থেকে মনিরুল ইসলামকে অপহরন করে মোটরসাইকেলে নিয়ে যায়। উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ অপহরণের পরিকল্পনাকারী রাসেল রানাকে গ্রেপ্তার করেন।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মনিরুলের বাবা আব্দুর রহিম বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
আব্দুর রহিম জানান, রাসেল রানা ও তার সহযোগীরা মনিরুলকে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের বাড়ির পাশ থেকে জোড়পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা প্রথমে মনিরুলকে হাত-পা বেঁধে সলপ রেলওয়ে স্টেশন এলাকার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন আলী আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে নিয়ে যায়।পরে নিজেদের পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মনিরুলের বাবার নিকট ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ওখান থেকে শাহজাহানপুর গ্রামের ফসলী মাঠে নিয়ে মারপিট করে।
এরপর শনিবার রাতে মনিরুলকে নিয়ে যাওয়া হয় পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া-বেতকান্দি আঞ্চলিক সড়কের পূর্বসাতবাড়িয়া গ্রামের কবরস্থান এলাকার ব্রীজের নিচে। এখানে মনিরুলকে আরেক দফা মারপিটের পর মুঠো ফোনে মুক্তিপণের ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পূর্বসাতবাড়িয়া গ্রামের কবরস্থানের পাশে ব্রীজের নিচে আসতে বলে।
আব্দুর রহিম বিষয়টি উল্লাপাড়া মডেল থানার পুলিশকে জানালে পুলিশ অপহৃত মনিরুলের বাবাকে সাথে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে শনিবার রাত ২ টার দিকে মনিরুলকে উল্লেখিত স্থান থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে এবং অপহরনকারীর প্রধান মোঃ রাসেল রানাকে গ্রেপ্তার করেন।
উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুজ্জাতুল ইসলাম জানান, অপহরণের পরিকল্পনাকারী ও দলনেতা মোঃ রাসেল রানাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির জানান মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য অপর আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।