ফটিকছড়ির ভূজপুরে হিন্দু-বৌদ্ধসহ তৌহিদী জনতার ব্যতিক্রমী মানববন্ধন।
১১৬ জন আলেম ও ১০০০ দ্বীনি মাদরাসার বিরুদ্ধে তথাকথিত ‘গণকমিশন’ এর তালিকায় থাকা চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদরাসার শাইখুল হাদিস ও প্রধান মুফতি মাহমুদ হাসান ভূজপুরীসহ দেশের আলেম সমাজ এবং দ্বীনি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ফটিকছড়ির ভূজপুরে হিন্দু-বৌদ্ধসহ সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার ব্যতিক্রম মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নস্থ কাজিরহাট বাজারে ফটিকছড়ি-হেঁয়াকো মহাসড়কে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইব্রাহীম তালুকদার।
ভুজপুর থানা উলামা পরিষদের আয়োজনে এবং কাজিরহাট মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জুনায়েদ বিন জালালের সঞ্চালনায় এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওলানা এমদাদ হাসান, মাওলানা আবু তালেব, মুফতি মিজানুর রহমান, এরশাদ বিন জালাল, মাওলানা দিদারুল আলম, ক্বারী মাওলানা আবু সাঈদ, হাফেজ মাওলানা সোলায়মান, মাওলানা শামসুল আলম, মাওলানা নিজাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবুল মহাজন, বাবু সুনীল কুমার পাল, বাবু সজল বড়ুয়া, বাবু গীতা ত্রিপুরা, বাবু মাখন কুমার নাথ প্রমূখ।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, আল্লামা মুফতি মাহমুদ হাসান দেশ ও স্বাধীনতা বিরোধী কোন কাজের সাথে কখনোই জড়িত ছিলেন না। গণকমিশন নামক একটি ভুঁইফোঁড় সংগঠন ওনাকে সম্পৃক্ত করে কথিত যে শ্বেতপত্র দাখিল করেছে; তা ডাহা মিথ্যা। মুক্তিযোদ্ধা বাবুল মহাজন বলেন, মুফতি মাহমুদ হাসান একজন ক্ষণজন্মা মহান ব্যক্তিত্ব। তিনি জীবনে কখনো ধর্ম ব্যবসায়ী হতে পারেন না। তার জন্য আমরা প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো।
বক্তারা ওই ভূঁয়া তালিকা থেকে ওনাকে এবং সকল আলেম-ওলামাদেরকে বাদ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহাবান জানান।