ডিগ্রি পরীক্ষা চলমান ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে বৈশাখী মেলা
ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ মাঠে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গত সোমবার (৯ মে) ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেছে মেলা কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০ সালের ডিগ্রী পাশ ও সার্টিফিকেট কোর্স ২য় বর্ষের পরীক্ষা গত ০৪/০৪/২২ ইং তারিখে শুরু হয়ে আগামী ২৫/০৫/২২ ইং তারিখে শেষ হওয়া কথা। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই সে মাঠে মেলা কমিটির লোকজন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আয়োজন করেছে বৈশাখী মেলা। একদিকে যেমন মেলা কমিটি আইন ভঙ্গ করেছে অপরদিকে পরীক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে।
তবে সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, পৌরসভা এলাকায় অনেক ফাঁকা মাঠ রয়েছে। বির্তক না করে সে জায়গাগুলিতে মেলা বসাতে পারতো মেলা কমিটি। এদিকে কলেজ মাঠে মেলা বসানোর ফলে রাস্তায় সবসময় যানজট লেগেই রয়েছে ফলে শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষের দূর্ঘটনা হওয়ার আশংকা রয়েছে।
রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ জামাল উদ্দীন গানের সুর দিয়ে বলেন- ‘চেয়ে চেয়ে দেখলাম আমার বলার কিছুই ছিলো না।’
মেলা কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলামের কাছে মেলার অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ডিসি স্যারের কাছে গিয়েছিলাম তিনি লিখিত ভাবে না দিলেও মৌখিক ভাবে অনুমতি দিয়েছেন।
মেলা কমিটির সম্পাদক সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াসিন আলী বলেন, আমরা দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে মেলা করে আসছি এটা তো বাণিজ্যিক মেলা না সাংস্কৃতিক মেলা। এই মেলা চালাতে ডিসি মহোদয় মৌখিক ভাবে অনুমতি দিয়েছেন।
রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনর্চাজ বলেন- বৈশাখী মেলা নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই এগুলো ইউএনও সাহেব ভালো জানেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভকে মেলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘দিনের বেলায় মেলা বন্ধ রেখে পরীক্ষা চলবে। সমস্যা কিছু হবেনা।’
জানতে চাইলে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হক বলেন, মেলা পরিচালনার জন্য ডিসি’র মৌখিক অনুমতি আছে। তবে যেদিন পরীক্ষা চলবে সেদিন ১৪৪ ধারা শতভাগ বলবৎ থাকবে।
একদিকে ডিগ্রি পরীক্ষা চলমান আবার ঐ মাঠেই বৈশাখী মেলা ১৪৪ ধারা তো জারি আছেই একজন জেলা প্রশাসক হিসেবে আপনার প্রতিক্রিয়া কি? আপনার চোখে কিভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ১৪৪ ধারা নিদির্ষ্ট সময়ের জন্য জারি থাকে যখন পরীক্ষা চলবে তখন সাধারন মানুষ সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না। পরীক্ষার সময় এবং মেলার সময় ভিন্ন। পরীক্ষার সময় যেভাবে ১৪৪ ধারা জারি থাকে সে নিয়মেই চলবে। লিখিত অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।