শিরোনাম
লক্ষ্মীপুরে মসজিদ মার্কেটের দোকানি ও কর্মচারী কলেজ ছাত্রীর সাথে শোভনীয় আচারণ। শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখাঁন জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ। সিরাজগঞ্জে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে পতিতাসহ যুবক আটক। লক্ষ্মীপুরে ইউএনও’র নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট ট্র্যাক্টর চালকের অর্থদণ্ড। মাধবপুরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসে র‍্যালি, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। লক্ষ্মীপুরে চাঁদা দাবি করে স্থাপনা নির্মাণে বাধা। মাধবপুরে গাঁজা সহ দুই  মাদক কারবারি গ্রেপ্তার। ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদা না পেয়ে এলজিইডি প্রকৌশলীর উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা। মাধবপুরে এসএম স্পিনিং মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি।
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ১১:০২ পূর্বাহ্ন

তাড়াশে ধান কাটা শ্রমিক সংকটে পাঁকা ধান পানির নিচে নষ্ট হচ্ছে।

মোঃ শাহিনুর রহমান,তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ / ৩০২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১১ মে, ২০২২

তাড়াশে ধান কাটা শ্রমিক সংকটে পাঁকা ধান পানির নিচে নষ্ট হচ্ছে


সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অতি বৃষ্টির কারনে বোরো পাকা ধান পানির নীচে ডুবে যাচ্ছে। শ্রমিক সংকট থাকায় মিলছে না কৃষকের ধান কাটার নিশ্চয়তা। যদিও মিলছে প্রতি ঘন্টায় ২শ ৫০ টাকা করে শ্রমিকের মুজুরী দিতে হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলায় ২২ হাজার হেক্টরের বেশী জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। বৃষ্টির কারনে পানিতে ডুবে গেছে উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান বৃষ্টিপাতে ডুবে যাওয়া মাঠের পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পরেছেন কৃষকরা। সারা বছরের স্বপ্ন পানিতে ডুবে যাওয়ায় ও যাওয়ার সম্ভবনা থাকায় রাতে ঘুমাতে পারছেন না এ দেশের প্রধান উপার্জন মুখি কৃষকগন।

বোরো ধান কেটে বাড়ি আনতে কৃষক পাচ্ছেন না শ্রমিক । পারছেন না নিজেরাও ধান কাটতে। বৃষ্টি তো লেগেই আছে । এদিকে জমিতে পানি থাকায় ধান কেটে রাখতে পারছেন না ধানের আটি। এদিকে উপদ্রব বেড়েছে জোঁকের। পানিতে নামার সাথেই জোঁক ঝেকে ধরছে পায়ে। তারপরও সোনালী ফসল ঘরে তুলতে আপ্রান চেষ্টা করছে। চোখের সামনেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালী ফসল।

উপজেলার ধানকুন্টি গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান জানান, অবাধে খাল বন্ধ ও অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারনে পানি প্রবাহ করতে না পারায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পাকা ধান পানিতে ডুবে গেছে। শ্রমিক সংকট থাকায় পাকা ধান কাটতে পারছিনা। ধানের শীষ পানিতে ডুবে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ১২ শ থেকে ১৫শ টাকা দিয়ে ৫/৬ ঘন্টা কাজ করছে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।
পৌরসভার বাসিন্দা মহারম আলী বলেন, পানিতে ধান ডুবে যাওয়ায় শুধু ধানের আগা কেটে আনতে হচ্ছে। ঝড়ে ও পানিতে ধান ডুবে থাকায় অনেক ধান ঝড়ে গেছে। এদিকে খড়ও পাচ্ছিনা। প্রতি বছর বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার খড় বিক্রি করে পেতাম। গবাদি পশুকে খাওয়ানোর খড়ও পাব না। সব দিক থেকেই আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধান কাটা হয়েছে। শ্রমিক সংকট থাকায় কৃষক সমস্যায় পরেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের সকলকেই মেনে নিতে হবে। তবে কৃত্রিম দুর্যোগ সৃষ্টিতে যে জলাবদ্ধতা হয়েছে তা দ্রæত সমাধান করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ