অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন।
অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের টনক নড়ে। সেই সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো কৃষি জমির উপরে অবৈধ পুকুর খননের কাজ। এতে করে কৃষি জমির উপরে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন বন্ধ করায় উপজেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সেই সাথে যেটুকু অবৈধ পুকুর খনন করা হয়েছে সেই টুকুও পুকুর ভরাট করার জন্য সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কেশরহাট পৌরসভার ভূমিদস্যু সাফিউল,করিম ইসলাম ও তানোর পৌর এলাকার চাপড়া গ্রামের ইমদাদুল হক নামের দু’জন মিলে হাতিশাইল লব্যাতলা ব্রিজের মুখ ঘিরে প্রায় ৫০ বিঘা কৃষি ধানী জমি কেটে পুকুর খনন ও আরো ১৩০বিঘা জমি পুকুর খননের জন্য সীমানা ঘিরে রাখা হয়েছে। ফলে পুকুর খননের জন্য চরম হুমকির মধ্যে পড়বে আশপাশের ৪/৫টি গ্রাম। যার জন্য এলাকাবাসীর অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে অবৈধ পুকুর খননের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথের এমন মানবিক কাজ দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তির নিশ্বাস। অনেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও’কে ধন্যবাদ, সাধুবাদ জানিয়ে আনন্দ উল্লাস করতেও দেখা যায় কৃষকদের। হাতিশাইল গ্রামের কৃষক জরিফউদ্দিন জানান, ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে একাধিক যোগাযোগ করেও কোন সুফল মিলেনি আমাদের। বরং আরো বেপরোয়া হয়ে পুকুর খননের কাজ জোরদার ভাবে বাড়িয়ে দেন তাঁরা। এতে একপ্রকার বাধ্য হয়ে কৃষি জমি ছেড়ে পুকুর খনন করতে দিতে হচ্ছে কৃষকদের কে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান,কৃষি জমিতে পুকুর খননের কোন সুযোগ নেই। কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছে এবং ফোনে একাধিক যোগাযোগ করা হচ্ছে কামারগাঁ ইউনিয়নে কৃষি জমি কেটে অবৈধ পুকুর খনন করা হচ্ছে। সেই অভিযোগে গতকাল সোমবার(৯মে) সকালে থানা পুলিশ নিয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অবৈধ পুকুর খনন কাজ বন্ধ করা হয়েছে। এরপরেও যদি প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আধারে পুকুর খনন করা হয় তাহলে জমির মালিক সহ ভেকু গাড়ি ও পুকুর খননকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।