নলডাঙ্গায় ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের খেলায়।
এক সময়ে গ্রাম- বাংলায় শিশু ও যুবকরা লেখাপড়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে বিনোদনের জন্য খোলা মাঠে দলবেঁধে লবনকোট খেলতো।কালের বিববর্তনে মহাকালের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে, এসব গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা।
গ্রামীণ এসব খেলাধুলা আমাদের আদীক্রিড়া সংস্কৃতির অংশ ছিল। এসব খেলাধুলা রূপসী গ্রাম-বাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করতো কিন্তু বর্তমানে গ্রামবাংলার এসব খেলা বিলুপ্ত হতে হতে আজ তার অস্তিত্ব খুজে পাওয়াই দুষ্কর হচ্ছে। রূপাসী গ্রাম-বাংলার সবচেয়ে বেশি প্রচলিত, কাবাডি, গোল্লাছুট, হাড়ভাঙ্গা, মোড়কযুদ্ধ,বিস্কুট দৌড়সহ ইত্যাদি রূপসী বাংলার ঐতিহ্যবাহী হারিয়ে যাওয়া এসব খেলাধুলা আর চোখে পড়ে না।
ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সম্প্রতি স্থানীয় নবপ্রজন্ম ক্লাবের উদ্যোগে উপজেলার মাধনগর গ্রামের জোয়দ্দারপাড়া এলাকায় দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়দের অংশগ্রহণে গ্রামীণ জনপদের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলি জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। খেলা গুলির মধ্যে ছিল,বদন, বালিশ খেলা,মোরগ যুদ্ধ,অংক দৌড়,বিস্কুট, দৌড়, কাবাডি,হাড়িভাঙ্গাসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় খেলা।
অনেকেই বলেন,মাদক ও অপরাধমূলক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়ায়। তাই আমাদের সবার নিয়মিত খেলাধূলা ও করা উচিত। গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে,আমাদের অবহেলার কারণে। অথচ এই খেলাধুলা শরীর ও মনকে বিকশিত করে। স্থানীয়রা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অভিনন্দন জানান,এমন এক সুন্দর উদ্যোগের জন্য।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,মাধনগর ইউ,পি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল জব্বার মৃধা,২ নং ওয়াড সদস্য রাকিবুল ইসলাম, ক্লাবের সভাপতি রাজু বেপারি,সাধারন সম্পাদক ফারাজুল প্রাংসহ প্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।