মাধবপুরে চিকিৎসার অবহেলায় ৫ম শ্রেণির ছাত্র’র মৃত্যুর অভিযোগ।
মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া চা বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্ডার অবহেলায় কিষান বুনার্জী (১১) নামের ৫ম শ্রেণির চাত্র’র মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চা বাগানের শ্রমিকরা ফুসে উঠেছে। শ্রমিকরা শুক্রবার কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন। সন্ধ্যায় বাগান ব্যবস্থাপক, পঞ্চায়েত কমিটি ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে আপোষ করা হয়।
নোয়াপাড়া চা বাগানের ঋতু বুনার্জীর ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কিষান বুনার্জী কয়েকদিন ধরে কানের ব্যাথায় ভুগছিলেন। তখন ওই শিক্ষার্থীকে বাগানের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে হাসপাতালের কম্পাউন্ডার জাহাঙ্গীর আলম তাকে নাম মাত্র কিছু ঔষধ দেয়। এতে তার অবস্থার উন্নতি না হয়ে অবনতি ঘটে। শুক্রবার সকালে কিষানের অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে বাগানের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কম্পাউন্ডার কিষানকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনা বাগানে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে বাগান ব্যবস্থাপকের বাংলোর সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করে। সন্ধ্যায় নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. সোহেল , বাগান ব্যবস্থাপক , পঞ্চায়েত সভাপতি বসে কিষান এর পরিবার কে ৬৫ হাজার টাকা দেয়ার রায় দিয়ে বিষয়টি সমাধান করেন।
নোয়াপাড়া চা বাগানের শ্রমিক সন্তোষ রেলির দাবি, একমাত্র চিকিৎসার অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তাকে আগেই রেফার করলে উন্নত চিকিৎসা করা হলে ওই শিশুটির মৃত্যু হত না।
বাগানের নারী শ্রমিক সুকুন্তলা গোয়ালা বলেন, বাগানের হাসপাতালে কোন চিকিৎসক নেই। কম্পাউন্ডার চিকিৎসা করেন। তার কাছে চিকিৎসার জন্য গেলে কয়েকটা ট্যাবলেট ধরিয়ে দেয়।
বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্ডার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওই শিশুর যে রকম সমস্যা ছিল, সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রেফার করা হয়। হবিগঞ্জ নিয়ে গেলে শিশুটি মারা যায়। এখানে চিকিৎসার কোন অবহেলা হয়নি।
এ ব্যাপারে নোয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ফকরুল ইসলাম ফরিদি জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিষয়টি শেষ করা হয়েছে। ৬৫ হাজার টাকা ওই পরিবারকে দেওয়া হবে।
নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. সোহেল বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে বাগানের গিয়েছি। বাগান পঞ্চায়েত, শ্রমিক, বাগান কৃতপক্ষ বসে সমাধান করেছে। ওই পরিবার কে ৬৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে তাছাড়া ওই পরিবারের একজনকে বাগানে স্থায়ীভাবে চাকুরি দেওয়া হবে।
Post Views: 324