শ্রমিক-মালিক একতা, উন্নয়নের নিশ্চয়তা’এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শ্রীমঙ্গলে মহান মে দিবস উপলক্ষে চা শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে
রোববার ( ১ মে ) দুপুরে উপজেলার মাজদিহী চা বাগানের নাট মন্দিরে চা শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে সংগঠনটির ২০২০-২১ সালের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের চট্রগ্রাম বিভাগ ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জায়গা থেকে চা শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকরা সমাবেশ অংশগ্রহণ করেন।এই সমাবেশে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পুর্ণ হয়ে যায় সমাবেশ স্থান ।
জাতীয় সংগীতের সাথে বাংলাদেশের পতাকা ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকারের সভাপতিত্বে ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি পংকজ কন্দ এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালী সভাপতি বিজয় হাজরা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী উপদেষ্টা ও কমলগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরি, উপদেষ্টা অঞ্জন দত্ত, উপদেষ্টা পরাগ বাড়ই, বাংলাদেশীয় চা সংসদের কনভেনার ও ফিনলে টি সিইও তাহসিন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা চা শ্রমিকরা এখনও নির্যাতিত ও নিপীড়িত। এই সমাবেশের মাধ্যমে আমরা আমাদের অধিকার নায্য দাবী তুলে ধরি, বঞ্চনা, নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাই। এ বছর মে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘শ্রমিক-মালিক একতা, উন্নয়নের নিশ্চয়তা’ সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা মালিক ও শ্রমিক মিলে যে এগ্রিমেন্ট করি সেই এগ্রিমেন্টে যদি মালিক ও শ্রমিকদের আন্তরিকতা না থাকে তাহলে এই একতা কিভাবে হবে, উন্নতি কিভাবে হবে, আমরা শ্রমিক ও মালিক পক্ষের এগ্রিমেন্টে বেশিরভাগ সময় মালিকদের আন্তরিকতা পাইনা। এখনো চা শ্রমিকরা তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ।শ্রমিকদের মজুরী খুবই কম, শ্রমিক মালিকদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মালিক পক্ষ এখন পর্যন্ত সমর্থন করছেনা।
২০১৯ সালে শ্রমিকদের মজুরী ১২০ টাকা করা হয়েছিলো, ২০২২ সালে এসেও এখন সেই ১২০ টাকাই মজুরী রাখার জন্য মালিক পক্ষ বিভিন্ন পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।