মাধবপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ,আহত ২৫।
হবিগঞ্জের মাধবপুরের বহরা ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের দুই দল লোকের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ১৫ জনকে মাধবপুর উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ।
ঘটনা সুত্রে জানা যায় গত মঙ্গলবার (৫এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে মনতলা শাহজালাল কলেজ মাঠে ইউনিয়নের ঘিলাতলী ও আফলপুর গ্রামের দুই দল শিক্ষার্থী ও বহিরাগতেৱ মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। এতে ঘিলাতলী গ্রামের ২জন আহত হয়।
পরবর্তীতে বুধবার বিকালে বর্তমান চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এর ছেলে কৌশিক এই আহত বিষয়টি তালিবপুর আহসানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বসে মীমাংসা করে দেন।
এসময় ঘিলাতলী গ্রামের তৌহিদ মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া বিষয়টি নিয়ে দুই দলের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করলে কৌশিক এর সঙ্গে তার বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী নয়নের বাবা-মার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন বলে জানান ।
এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (৭এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটার দিকে সাবেক চেয়ারম্যান রাজাপুর গ্রামের আরিফ রহমান আরিফ এর ছোট ভাই আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে একদল লোক আফজল পুর গ্রামের রহিম মিয়ার মালিকানাধীন মনতলা বাজার কলেজ রোড প্লাস পয়েন্ট গার্মেন্টস এর দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করে দোকানের কর্মচারীর শাহেদ আলী কে মারপিট করে গুরুতর আহত করেন।
রহি মিয়া দৈনিক আমার হবিগঞ্জকে জানায়, এ সময় তার ক্যাশ লুট করে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকাসহ গার্মেন্টস সামগ্রী নিয়ে যায়।পরে বহরা ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় চেয়ারম্যানের অফিসে হামলার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে প্রায় ১১ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন মেম্বার তাদের লোকজন নিয়ে কলেজ রোডের মাথায় যাওয়া মাত্রই উভয়পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শ্রীধরপুর গ্রাম এর ফয়সল সহ প্রায় ২৫ জন লোক আহত হয়। ইউপি সদস্য ফয়সাল আহত হওয়ার খবর পেয়ে শ্রীধরপুর গ্রামের লোকজন ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া জড়িত হয়, প্রায় ঘন্টা দেড়েক এই ধাওয়া পাল্টা দাওয়া হয় ।
এই সংঘর্ষের খবর পেয়ে মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ওসি তদন্ত কাশিমনগর ফাঁড়ি ও মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে দুপুর একটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন । ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত তবে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি।