রামগঞ্জে এক গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ফাতেমা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার পৌর ৭নং ওয়ার্ডের মধ্য শ্রীপুর মিঝি বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে আক্তার হোসেন ও তার ভাই পৌর শহরের নূর প্লাজার জুতার ব্যবসায়ি এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ ৩ এপ্রিল রোববার উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন।
শুক্রবার রাত ৭:৪৫ মিনিটে উপজেলার ফতেহপুর এলাকায় ফাতেমাকে বহনকারী সিএনজি’র গতিরোধ করে এ হামলা চালিয়েছে অভিযুক্তরা। গুরুতর আহত গৃহবধু ফাতেমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখলে শনিবার দুপুরে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।
সুত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ পৌর সাতারপাড়া গ্রামের গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার শুক্রবার ব্যক্তিগত কাজ শেষে লক্ষ্মীপুর জেলা শহর থেকে সিএনজি যোগে রামগঞ্জ শহরে আসার সময় ফতেহপুর নামক স্থানে পৌঁছানো মাত্রই তার পথরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে জখম করে। এসময় গৃহবধুর চিৎকার শুনে গ্রামবাসী দ্রুত ছুটে আসলে দুস্কুতিকারীরা পালিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধু ফাতেমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, আমার সাথে রামগঞ্জ শহরস্থ নুর প্লাজার জুতার ব্যবসায়ী ও শ্রীপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির এনায়েত উল্যাহর দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত পারিবারিক ও পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
উক্ত বিরোধের সুত্রধরে এনায়েত উল্যাহর নেতৃত্বে তারই ভাই আক্তার হোসেন, কালিকাপুর গ্রামের ফরহাদ হোসেন,শাকতলা গ্রামের মাহবুবুর রহমান সহ ৪/৫ জনের গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে।খবর পেয়ে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেন। এ ব্যাপারে জানতে বার বার যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।