বালিয়াডাঙ্গীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির জব্দ করা চাল নিলামে !
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে জব্দ করার দুই বছর পর নিলামে বিক্রি হতে যাচ্ছে ৩০ কেজি ওজনের ৬৮ বস্তা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। করোনাভাইরাসের সময়ে ঘটা চাল কেলেঙ্কারির ঘটনাটি এই নিলামের মাধ্যমে শেষ হতে যাচ্ছে।
আগামী ৬ এপ্রিল বালিয়াডাঙ্গীর খাদ্যগুদামে নিলাম কার্যক্রম হবে। শনিবার উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র বিষয়টি জানান।
জানা গেছে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বিক্রির জন্য বাজারে নেওয়ার সময় বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের দুই নছিমন চালকসহ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজি ওজনের ৬৮ বস্তা চাল জব্দ করেন তৎকালীন ইউএনও খায়রুল আলম সুমন। পরে ঘটনাস্থলে আটক নছিমনচালক কাউসার পান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর স্থানীয় ওএমএস ডিলার আমিরুল ইসলামের তিনটি গুদাম থেকে আরও ৮৮৯ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।
ওই ঘটনায় উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ওএমএস ডিলার আমিরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী কুলকুমা আক্তার, তাঁর ভাই জমিরুল ইসলাম, সমিরুল ইসলাম, আমজানখোর ইউনিয়নের ওএমএসের ডিলার আব্দুর রশিদ ও নছিমনচালক পান্না কাউসারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এর সঙ্গে আমজানখোর ইউনিয়নের ওএমএস ডিলার আব্দুর রশিদের ডিলারশিপ বাতিল করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে গুদামের জব্দ করা ৮৮৯ বস্তা চাল ফেরত পান ডিলার আমিরুল ইসলাম। রাস্তায় দুটি নছিমন থেকে উদ্ধার হওয়া অবশিষ্ট ৬৮ বস্তা চাল খাদ্যগুদামে জমা রাখা হয়।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র জানান, চালগুলো দুই বছর গুদামে পড়ে থাকায় নষ্ট হওয়ার পথে। আগামী ৬ এপ্রিল প্রকাশ্যে নিলামে সেটা বিক্রয় করে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।