ওসমানীনগরে বিএনপি’র সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদককে আদালতে কারণ দর্শানোর নোটিশ।
সিলেটের ওসমানীনগরে অনিয়মন্ত্রান্তিক ভাবে উপজেলা বিএনপি’র মনগড়া কমিটি গঠনের অভিযোগে নব গঠিত কমিটির কার্যক্রমে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হবে না তা জনতে উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর কথা বলা হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন, উপজেলা বিএনপির অনিয়মে অভিযুক্ত ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির নব ঘোষিত কমিটির সভাপতি দয়ামীর ইউপি চেয়ারম্যান এসটিএম ফখর উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমদ। গত ২৮ মার্চ সোমবার এই দুই নেতাকে এই নোটিশ প্রদান করেন আদালত।
এর আগে, অনিয়মন্ত্রান্তিক ভাবে উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনের অভিযুগে সিনিয়র সহকারী জজ বালাগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস সৈয়দ এনামুল হক এনাম পীর। মামলাটি আগামী ১১ এপ্রিল বিচারের জন্য ধার্যকার হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে,সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গঠিত কমিটির অভিযোগে ১৩ মার্চ দায়েরকৃত মামলা আদালত আমলে নিয়ে সিলেট জেলা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির ৯ নেতার বিরুদ্ধে সমন জারি করে করেন।
এর আগে দলের ত্যাগী নেতাদের কৌশলে বঞ্চিত করে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করে উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিলেট বিভাগের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ এ জাহিদ হোসেন এর কাছেও লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।
মামলা ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ছয় বছর পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারী গোপন ভোটের মাধ্যমে উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্মন্ন করার জন্য পূর্ব থেকে সব রখমের প্রস্তুতি নেয়া হয়।
সম্মেলনের দিন কয়েকেজন নেতাদের কুটকৌশলে গোপন ভোট না করে মনগড়াভাবে নিজ বলয়কে শক্তিশালী করতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পকেট কমিটি গঠন করেন। গোপন ব্যালটে নির্বাচন না করে মৌখিকভাবে ভোট গ্রহণ করে ইচ্ছে মতো ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি বিএনপি‘র দলীয় আদর্শ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি হওয়ায় স্বচ্ছ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের দাবি জানালেও তা কর্নপাত না করে কতিপয় নেতারা প্রকাশ্যে ইন্দন জুগিয়ে ৪০ জন কাউন্সিলরের মৌখিক ভোট গ্রহণের অভিযোগ উঠে।
মামলা বাদি পক্ষের আইনজীবি মাসউদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকে নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটি আগামী ১১ এপ্রিল বিচারের দিন ধার্য করা হয়েছে।