ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ টাকা কেজি দরে চাল কার্ডধারীদের নাম পরিবর্তনের অভিযোগ।
ঠাকুরগাঁওয়ে হতদরিদ্রের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের কার্ডধারীদের নাম পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা চেয়ারম্যান রোমান বাদশার বিরুদ্ধে এমনি অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলা আখানগর ইউনিয়নে প্রায় ৩শ অসহায় মানুষের ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড পরিবর্তন করায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন ভুক্তভোগীরা। এসব চাল বিতরণ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয় ভুক্তভোগীরা। এসময় তাদের ন্যায্য অধিকার পেতে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেয়। এতো ঘন্টাব্যাপী বন্ধ হয়ে যায় চাল বিতরণ কার্যক্রম।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নে ৯ টি ওয়ার্ডে হতদরিদ্রের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০টাকা কেজি দরে চাল এক হাজার ৭৫ জনের মাঝে অসহায় মানুষের মাঝে কার্ড দেয়া হয়। এরমধ্যে প্রায় ৩শ অসহায়দের কার্ড বাতিল করেন চেয়ারম্যান বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ চেয়ারম্যান তাদের কার্ড নিয়ে আর ফেরত না দিয়ে তাদের নামের পরিবর্তে নিজের খুশি মতো স্বচ্ছল মানুষদের নামে কার্ড করে দিয়েছে। যদিও চেয়ারম্যান অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, যারা অসহায় শুধু তাদের মাঝেই বিতরণ করা হচ্ছে এই চাল।
ভুক্তোভোগী দিনমজুর মানিক বলেন, আমি অসহায় মানুষ। দিনে আনে দিনে খাই। চেয়ারম্যান কিছুদিন আগে আমার কার্ড নিয়েছে বলে কি বলে প্রয়োজন। এখন আর কার্ড দেয়না। আমি একজন দিনমজুর হয়ে যদি সরকারের এই সুযোগ না পাই তাহলে কারা পাবে???
আরেক ভুক্তভোগী আইযুব আলী বলেন, আমরা অসহায়,গরীব কিন্তু আমাদের সাথে এমন অন্যায় কেন হলো?. আমি মিলে কাজজ করি। চেয়ারম্যানকে বলি আমার কার্ড বাতিল কেন করলেন তিনি বলে তুমি পাবেনা। আমার মতো দিনমজুর পাবেনা কিন্তু স্বচ্ছল মানুষেরা পাইছে। চেয়ারম্যান তার নিজের খুশি মতো কার্ড দিছে।
তবে অভিযুক্ত আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোমান বাদশা বলেন, আমাদের ইউনিয়নে সকল অসহায় মানুষেরাই এই কার্ড পেয়েছে। কার্ড পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদে মিটিং হয়েছে যারা দীর্ঘদিন এই কার্ডের সুবিধা নিয়েছে তাদের নাম পরিবর্তনের। সেই সিদ্ধান্ত মতে আমরা কিছু কার্ড পরিবর্তন করেছি। তবে উপজেলা পরিষদের এই সিদ্ধান্তের কোন লিখিত নেই বলেও জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো.সামসুজ্জামান বলেন, যারা আগে থেকে এই কার্ডের সুবিধে নিচ্ছে তারাই নিবে। কার্ড পরিবর্তন করা হবে এই ধরনের কোন সিদ্ধন্ত নেয়া হয়নি। তবে আখানগরের বিষয়ে এমন অভিযোগ শুনেছি, খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।