গভীর নলকূপের কারনে বদলে গেছে মাধবপুরে কৃষির চিত্র।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিএডিসি’র গভীর নলকূপের কারনে বদলে গেছে কৃষির চিত্র। আগে যেখানে ১ ফসল হত এখন সেখানে ২ সফল হচ্ছে। যেখানে ২ ফসল হত এখন সেখানে হচ্ছে ৩ ফসল। এতে উপকৃত হচ্ছে কৃষকরা। উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে ৪০ হেক্টর জমিতে আগে এক ফসল হত। এখন পর্যাপ্ত সেচ সুবিধা থাকায় কৃষকরা ওই সব জমিতে ৩ থেকে ৪ ফসল করছেন। বিএডিসি থেকে গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেওয়ায় সেচ খরচও কম হচ্ছে। এতে করে ওই গ্রামের ৫ শতাধিক কৃষকের জীবন যাত্রা বদলে গেছে। আগে যেখানে এক ফসল করে সংসার চালানো কষ্ট হত, এখন সেখানে ৩ ফসল করে সুখে দিন কাটছে তাদের।
কৃষক আব্দুল বাছির বদু মিয়া জানান, এই মাঠে আগে তাদের একটা ফসল হত। শুধু আমন ধান করতেন। এখন সেচ সুবিধার কারনে ৬০/৭০ শতাংশ জায়গা বোরো আবাদে এসেছে। বর্ষার সময় যখন সারা দেশে পানি থাকে তখন এখানে পানি থাকে না।
এখন এখানে বিএডিসি সেচ সুবিধা হওয়ায় তারা তরমুজ, শশা, লাউ, চাষ করেন। দেশ টিকিয়ে রেখেছে বিএডিসি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশে যাতে এক শতক জায়গাও পড়ে না থাকে। সেচের সুবিধা হওয়ায় এখন আর কোন জায়গা পড়ে থাকে না। হবিগঞ্জ বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হক জানান, ২০১৬- ২০১৭ অর্থ বছরে গোপীনাথপুরে সেচের জন্য একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়।এই এলাকাটি পানির অভাবে অনাবাদি ছিল। গভীর নলকূপ স্থাপনের করার ফলে এই এলাকার প্রায় ৪০ হেক্টর জমি বোরো ধানের আওতায় আসে। পূর্বে এই জায়গায় বোরো ধান হত না। মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, ২০২১- ২২ অর্থ বছরে মাধবপুরে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ৭০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে।
বোরো আবাদ বাড়ার মূল কারন হল কৃষকদের ৫০% ভতুকিতে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে কৃষকদের যন্ত্র ক্রয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগে কৃষকরা ধান কাটার শ্রমিক নিয়ে আশংকায় থাকত। এই আশংকার কারনে কৃষকরা বোরো আবাদ কম করত।
বোরো মৌসুমে সেচের একটু সমস্যা হয়। বিএডিসি সহ কৃষি মন্ত্রনালয়ের যে প্রতিষ্টান গুলো আছে উনাদের সহযোগীতার কারনে আগে যেখানে ২ ফসল হত এখন সেখানে ৩ ফসল হচ্ছে। ১ ফসলি জমি গুলোতে এখন ২ ফসল , ২ ফসলি জমি গুলোতে ৩ ফসল হচ্ছে। সেচের সংকট দূর হওয়ার কারনে কৃষকরা কৃষিকাজে আগ্রহী হচ্ছে।
Post Views: 284