মানুষ গড়ার কারিগর এক জন মাদকসেবি শিক্ষকের গল্প।
শিক্ষক মানেই মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু সেই শিক্ষক যখন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থ্যার কি পরিনতি হতে পারে। সমাজ ব্যবস্থা কোথায় যাবে।আর মাদকাসক্ত হয়ে একজন শিক্ষক কি ভাবে ক্লাস নেয়। আর কলেজ প্রধানরাই বা কি করেন। নাকি এধরনের শিক্ষকের কাছ থেকে কমিশন খেয়ে হালাল করেন সবকিছু।
রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার ঐতিহ্য বাহী সুনাম ধন্য তালন্দ ললিত মোহন ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক নিশিত কুমার দুবেলা ফেনসিডিল ইয়াবা গাজা সেবন না করলে পথ চলতেই পারেন না বলে অভিযোগ উঠেছে ।তিনি তো কলেজে না গিয়ে বিভিন্ন তালবাহানায় মাদক সেবন করে দিন পার করে দেন শিক্ষক নামের কলঙ্ক নিশিত।
মাদক সেবনের জন্য তিনি গোদাগাড়ীর এক ফেন্সিডিল ব্যবসায়ীর দামি মোবাইল চুরি করে পালানোর সময় হাতেনাতে আটক করে উত্তম মাধ্যম দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ফেন্সিডিল ব্যবসায়ীকে সুদের উপর টাকা পর্যন্ত দেন এই প্রভাষক বলেও প্রচার রয়েছে । টাকার পরিবর্তে ফেন্সিডিল সেবন করে পরিশোধ করেন।প্রতিদিন এই প্রভাষকের দুটি করে নাকি ফেন্সিডিল সেবন করতে হয়। নিশিতের এমন বেপরোয়া মাদক সেবনের জন্য শিক্ষক মহল চরম শাস্তির দাবি তুলেছেন যেমন একদিকে অন্যদিকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে রাখারও আহবান জানান তার সহপাঠীরা।
জানা গেছে, নিশিত কুমারের বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার তেতুলিয়া ইউপিতে। অবশ্য তালন্দ কলেজে চাকুরির সুবাদে তিনি পৌর সদর হিন্দুপাড়াগ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। নিশিত হিন্দু পাড়াসহ আশপাশের অনেক কে ফেন্সিডিল সেবন করান।প্রথম অবস্থায় নিজের টাকায় ফেন্সিডিল সেবন করিয়ে আকৃষ্ট করে ফেলেন। কয়েকদিন সেবন করানোর পর নিশিত তখন ওই ব্যক্তির পকেট কাটা শুরু করেন।এমনকি অনেক প্রবিন ব্যক্তিকেও ফেন্সিডিলে আকৃষ্ট করেছেন।সহজে পেতে টাকা দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেন এই মাদকাসক্ত প্রভাষক নিশিত কুমার।
বেশকিছু সিনিয়র প্রভাষক রা জানান, শিক্ষক একটা মহান পেশা।শিক্ষকরা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের দারায় সমাজ দেশ পরিবর্তন হয়।আমরা অনেক আগেই জেনেছি নিশিত ফেন্সিডিল সেবন করেন। তাকে অনেকবার মাদকের পথ পরিহার করতে বলেছি৷ কিন্তু সে স্বিকার করত না।পরে দেখি সে কলেজে নিয়োমিত আসেন না,আসলেও নানা কারন দেখিয়ে চলে যান।তার শরীর সব সময় যেন কাপে। এতে বোঝা যায় সে কতবড় মাদক সেবন কারি। নিশিত ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক। সে তো ইতিহাসের বিপরীতে কোন ইতিহাস শিক্ষা দেয় শিক্ষার্থীরাই ভালো বলতে পারবে।
হিন্দুপাড়ায় তার বেশকিছু প্রতিবেশিরা জানান, তার বাড়িতে প্রায় সময় হট্টগোল লেগেই থাকে।একজন প্রভাষকের বাড়ির পরিবেশ যদি এমন হয় তাহলে সাধারণ জনগণ কি শিখবে।তাকে দ্রুত মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো দরকার। নচেৎ তাকে মহৎ পেশা শিক্ষকতার পরিবর্তে মাদক কারবারিতে যোগ দেওয়া প্রয়োজন।
তবে প্রভাষক নিশিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি নানা রোগে আক্রান্ত এজন্য এমন মনে হয় বলে এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ বিষ্ণুপদ জানান, মাদক সেবনের ব্যাপারে অজানা। নিশিত নানা রোগে আক্রান্ত আমি এটাই যানি।মাদকের সাথে জড়িত থাকলে অবশ্যই ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।