বেলকুচিতে শিক্ষক লাঞ্চিত,প্রাণনাশের হুমকি ও ভাঙচুরের ঘটনায় প্রশাসন নিরব।
সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে শিক্ষক লাঞ্চিত,প্রাণনাশের হুমকি ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ায় শঙ্কায় শিক্ষক ও অভিভাবকগণ ।
বেলকুচি উপজেলার আলহাজ সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের লক্ষ্যে গত ৩ মার্চ থেকে ০৬ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র উত্তোলন ও দাখিলের শেষ সময় নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করা হয়।
অথচ গত ০৭ মার্চ সৌরভ তালুকদার,ও আব্দুল মমিনের নেতৃত্বে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করতে গেলে প্রধান শিক্ষক নিয়ম বহির্ভূত মনোনয়ন পত্র না দেওয়ায়, প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত, ভাঙচুর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে ।
এ ব্যাপারে আলহাজ সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রাণনাশের হুমকি, লাঞ্ছিত ও অফিস কক্ষে আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনায় বেলকুচি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনো কোন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, আমরা চরম শঙ্কায় রয়েছি। অভিযোগ দায়ের করার চার দিন অতিবাহিত হলেও আইনি পদক্ষেপ নেই। আমরা বিচার না পেলে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করবো।
এ ঘটনায় ছাত্রদের মাঝেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনার ন্যায় বিচার না পেলে এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।
এদিকে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো ব্যাবস্থা না নেওয়ায় ছাত্রদের অভিভাবকবৃন্দ সহ এলাকার সকল শ্রেণীর জনসাধারণের মধ্যে খোপ বিরাজ করছে, এছাড়া অভিভাবক বৃন্দরা আরো বলেন এই ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাবো না কারন এই সন্ত্রাসীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সন্তানেরা বিদ্যালয়ে নিরাপদ নয়। এই সন্ত্রাসী ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে যদি দ্রুত আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে আমরা অভিভাবকবৃন্দ সহ আমাদের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আন্দোলনে যাবো,
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন যে বেলকুচি থানার একজন কর্মকর্তা এই অভিযোগটি তুলে নেওয়ার জন্য স্কুল কর্তপক্ষকে চাপ সৃষ্টি করছে,
এ ব্যাপারে বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফার নিকট বারবার ফোন করলে, তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বেলকুচির অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কামারখন্দের সার্কেল শাহীনুর কবির বলেন শিক্ষক লাঞ্ছিতের বিষয়টি আমি অবগত বেলকুচি থানার ওসি ছুটিতে গিয়েছে , ছুটি থেকে আসার পর আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।