সিলেটের ওসমানীনগরে তাজপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেটের ওসমানীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার তাজপুর কলেজে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। এসময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে কলেজের অধ্যক্ষের রুমসহ অফিসকক্ষে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
আহতরা হলেন-কলেজের ২য়বর্ষের শিক্ষার্থী মোল্লা পাড়া গ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলে আব্দুল মতিন (২১) ও ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মটিহানি গ্রামের মুধু মিয়ার পুত্র উজ্জল মিয়া (২৪)। এর মধ্যে আহত আব্দুল মতিন মাথায় মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।খবর পেয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ঘটনায় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় তাৎক্ষনিকভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহের জন্য সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা যায় ৯ মার্চ বুধবার দুপুর ১২টার সময় কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র আব্দুল মতিনের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে ডিগ্রি ৪র্থ বর্ষের ছাত্র উজ্জল মিয়ার হাতে ছুরিকাঘাতসহ হামলার চেষ্টা চালায়।
এসময় উজ্জল মিয়াসহ অনান্য শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আব্দুল মতিনকে ধাওয়া করে।আত্মরক্ষার্তে দৌড়ে কলেজের অধ্যক্ষের রুমে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে ৪০/৫০ জন শিক্ষার্থীর সংঘবদ্ধ দল অধ্যক্ষর দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আব্দুল মতিনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্বক আহত করে।
অধ্যক্ষর রুম ও অফিস রুমে প্রবেশ করে কম্পিউটাসহ বিভিন্ন আসবাপত্র ভাংচুর করে ওই সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা।এ ঘটনায় কম্পিউটার অপারেটর আনা মিয়া আহত হয়। কলেজের অধ্যক্ষ মনু মিয়া আমারজমিনকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আমি হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীর খোঁজ খবর নিয়েছি। এই ঘটনায় কলেজ গভর্নিং বডির সদস্যদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্য(ওসি)এস এম মাইন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীর খোঁজ-খবর নেওয়া হয়েছপ। এব্যাপারে কলেজ কর্তপক্ষের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তাজপুর ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ইউএনও নীলীমা রায়হানা বলেন, হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীর খোঁজ-খবর নেয়ার পাশাপাশি কয়েক দিনের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করার জন্য কলেজের অধ্যক্ষকে বলেছি।