লক্ষ্মীপুরের গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের বাড়িতে এমপির জামাইয়ের হামলার অভিযোগ।
লক্ষ্মীপুরে ৩তিন লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে শাকিল হোসেন নামে এক গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের (এআই) বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের নাম সাইদুল বাকিন ভূঁইয়া। তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালের মেয়ের জামাই। সোমবার (৭সাত মার্চ) সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পশু চিকিৎসক শাকিল হামলার অভিযোগ করেন।
এরআগে রোববার (৬ছয় মার্চ) রাতে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ছবিলপুর গ্রামের মীরগঞ্জ বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় ঘরের ১০ টি জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। একটি প্রসূতি গরুকে মারধর করে হামলাকারীরা। এতে গরুটির বাচ্চা মারা যায়। ঘর থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়।
অভিযুক্ত বাকিন পাশ্ববর্তী রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের লুধুয়া ভূঁইয়া বাড়ির বাসিন্দা। অভিযোগ করে শাকিল, তার বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা কুলসুম বেগম জানায়, এলাকার উন্নয়ন কাজের জন্য বাকিন ভূঁইয়া তাদের কাছ থেকে ৩তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু এতো টাকা দেওয়ার সামর্থ তাদের নেই। এতে গত একবছর ধরে বিভিন্নভাবে তাদেরকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে শাকিলকে মীরগঞ্জ বাজারে বাকিন ভূঁইয়াসহ তার লোকজন আটকে রাখে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যায় বাকিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক এসে শাকিলদের বাড়ির জানালা ও ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় বাড়ির লোকজন হামলাকারী একজনকে আটকে রাখে। পরে রাত ১০ টার দিকে পুলিশ নিয়ে এসে বাকিন আটক ওই ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতিতেই তাদের একটি প্রসূতি গরুকে মারধর করা হয়। এতে গর্ভে থাকা গরুর বাচ্চাটি মারা যায়।
শাকিল হোসেন বলেন, চাঁদা না দেওয়ায় বাকিন ভূঁইয়া আমাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়। আমাকে মারার জন্য আটকে রাখে। পরে তারা আমার বাড়িতে ঢুকে আমিসহ আমার বাবা, মাকে মারধর করে। পরে আমি পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। বাকিন ভূঁইয়া এমপির জামাই হওয়ায় স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটাচ্ছেন।
সাইদুল বাকিন ভূঁইয়া জানান, শাকিলের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর আদালতে গরু চুরির মামলা চলমান। তিনি ১৮ দিন কারাগারে ছিলেন। আদালতে যাওয়ার পথে শাকিল ও তার লোকজন ওই মামলার স্বাক্ষীদের আটকে রাখে। স্বাক্ষীদের ছাড়াতে গেলেই শাকিলসহ ৪-৫ জন আমার ওপর হামলা করে। আশপাশের লোকজন না বাঁচালে তারা আমাকে মেরে ফেলতো। এখন তারা আমার নামে মিথ্যা গুজব রটাচ্ছে। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।