ঘড়িয়াল ও শুশুক সংরক্ষণে সচেতনতামূলক বিলবোর্ড স্থাপন।
ঘড়িয়াল ও শুশুক সংরক্ষণে বন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) এর সহযোগিতা বগুড়ায় সচেতনতামূলক বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
শুক্রবার(৪ মার্চ ২০২২) সকালে মিঠা পানির নদী শুশুক সংরক্ষণে বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার (প্রেম যমুনা ঘাটে) সচেতনতামূলক একটি বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়।
নদী তীরবর্তী সাধারন মানুষ,নৌকা চালক, মৎসজীবী ও ভ্রমন পিপাসুদের বন্যপ্রাণী ও বন্যপ্রাণী আইন সম্পর্কে সচেতনতামূলক এই উদ্যোগ জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন অনেকে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়,প্রায় প্রতি বছরই যমুনা নদীর বগুড়া জেলার বিভিন্ন অংশেই বেশ কয়েকটি করে শুশুক জেলেদের জালে আটকা পড়ে ও জেলেদের অজ্ঞতা,অসচেতনতায় মারা যায়। বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষন ফেডারেশন বিবিসিএফ,র পক্ষ থেকে বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক জনাব মোল্যা রেজাউল করিমকে অবহিত করলে,বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও আবাসস্থল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শুক্রবার বিলবোর্ডটি স্থাপন করা হয়। পর্যায়ক্রমে উত্তরাঞ্চলের যমুনা তীরবর্তী কয়েকটি জেলায় বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে বলে জানা যায়।
বন্যপ্রাণী(সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা)আইন-২০১২ অনুসারে, ঘড়িয়াল, শুশুক,হত্যা,শিকার,আটক,পাঁচার,ক্রয়-বিক্রয় আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।