বেলকুচিতে প্রশংসা পত্র পেতে গুনতে হচ্ছে পাঁচশত টাকা।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ডি এস এ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়রত আলীর বিরুদ্ধে প্রশংসা পত্র উত্তোলনে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৫ শত টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ১৩৫ জন অংশ গ্রহন করেন তার মধ্যে ১২৭ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কলেজে ভর্তির জন্য বিদ্যালয়ে তাদের পাশের প্রশংসা পত্র নিতে আসলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়রত আলী বিদ্যালয়ে আলমারীর কেনার নামে জন প্রতি ৫ শত টাকা করে পকেট ফিস উত্তোলনে করেন। এ পর্যন্ত ৬০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫ শত টাকা করে আদায় করেছেন। অনেক শিক্ষার্থী ৫ শত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের প্রশংসা পত্র দেওয়া হবে না বলে ছাপ জানিয়ে দেওয়া হয়।
শাহাপুর গ্রামের অভিভাবক ঠান্ডু সরকার জানান, আমাদের এলাকায় বেশির ভাগ মানুষ গরীব। এছাড়াও কলেজে ভর্তি করাতে হিম শিম খাচ্ছি। বিদ্যালয়ের আলমারী কেনার নামে পকেট ভরছেন তারা।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হয়রত আলীর কাছে অতিরিক্ত ফিস নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা তেমন কিছু না। সব স্কুলেই নিয়ে থাকে। আমরা এই স্কুলের আলমারী কেনার জন্য উন্নয়ন বাবদ ফিস নিচ্ছি।
অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হামিদ আকন্দ জানান, এই বিদ্যালয়ের অবস্থা তেমন ভালো না। উন্নয়নের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রেজা জানান, যদি কোন প্রতিষ্ঠান প্রশংসা পত্র নিতে টাকা নিয়ে থাকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।