আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি২২) সকাল ১০টায় উপজেলার ১১ নম্বর পশ্চিম পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ইজ্জতিয়া স্কুলের দক্ষিণ পাশে ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মাঝর পাড়া ঠান্ডার বাপের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় ৮ বসতঘরের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ পরিবার। নগদ টাকাসহ এতে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- মেম্বার কাশেম, মাষ্টার গিয়াস উদ্দিন, মুহাম্মদ ছৈয়্যদ, আলী আকবর, মুহাম্মদ ইলিয়াছ, নোমান সাওদাগর, ইয়াকুব আলী, মুহাম্মদ নেছার উদ্দীন। এ ঘটনায় উক্ত ৮ বসতঘরের মেম্বার কাশেমের ৪ পরিবার, নোমান সাওদাগরের ২ পরিবারসহ ১২টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী মেম্বার কাশেমের বাড়ি থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার কিংবা বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পরে আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে চতুর্থদিকে। স্থানীয়রা বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে ফোন দিলে তারা দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে মাস্টার গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি বিয়ে করেছি মাত্র সপ্তাহ পার হলো। বাড়িতে থাকা নতুব সব আসবাবপত্র, প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার বই, নগদ ৩০ হাজার টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ায় কোনরকম নিজেরাই বেঁচে আছি, কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। এ ঘটনায় আমাদের ৮ বসতঘরের ১২ পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে এখন নিঃস্ব।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার আজাদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আমাদের ফায়ার টিম ও এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।