প্রতিহিংসা নয় সম্প্রীতির মাধ্যমে কাজ করতে চান চেয়ারম্যান বাবু চৌধুরী।
রাজশাহী তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদে সম্পূর্ণ বিনা টাকায় জন্ম সনদ,মৃত্যু সনদ, নাগরিকত্ব, চারিত্রিক সনদসহ নানা ধরনের সেবা মুলুক কাজের জন্য প্রশংসায় ভাসছেন নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য বর্ষিয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তি খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী। অতীতে যে কোন সনদ পেতে ইউপি বাসীকে গুনতে হত যেমন টাকা, তেমনি ভাবে হতে হত হয়রানির শিকার। কিন্তু বাবু চৌধুরী চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ইউপি বাসীর জন্য সব কিছু উজাড় করে সকল ধরনের সনদ পেতে কোন টাকা বা হয়রানি হতে না হয় এজন্য প্রথম থেকেই কঠোর নির্দেশনা দেন ইউপি সদস্য ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের। সেই নির্দেশনা মোতাবেক সেবায় মুগ্ধ জনসাধারণ। এতে করে স্বস্তি ফিরেছে আপামর জনসাধারণের মাঝে। ফলে কলমা ইউপি বাসীর মধ্যে এক প্রকার সম্প্রীতির ভাব বিরাজমান।
জানা গেছে, গত বছরের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। দলীয় প্রতীক নৌকা না পেয়ে নিজের জনপ্রিয়তা এবং আপামর ইউপি বাসীর দাবির প্রেক্ষিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চশমা প্রতীকে ভোট যুদ্ধে নামেন বাবু চৌধুরী। প্রথম থেকেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন বাবু চৌধুরী। তার মুল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন। অবশ্য তিনি বিগত ২০১৯ সালে ওই ইউপির উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথম বারের মত চেয়ারম্যান হন। তাকেই পুনরায় নৌকা প্রতীক দেওয়া হলেও বিপুল ভোটে পরাজিত হতে হয় বাবু চৌধুরীর কাছে। যদিও রাজনৈতিক কৌশলগত পথ অবলম্বন করে বিএনপি দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে ভোট করেন নি। তবে অন্য ইউপিতে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী দিলেও কলমা ইউপিতে ছিল না তাদের প্রার্থী। মুলত এজন্যই নির্বাচনে কলমা ইউপির দিকে উপজেলা বাসীর নজর ছিল আলাদা। নানান প্রতিকুলতা পেরিয়ে অবশেষে কলমা ইউপি বাসীর বিজয় ঘটে। জনতার রায়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বাবু চৌধুরী। তিনি সবার কাছে এক হাস্যজ্জল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তার ভিতরে কখনো হিংসা বিদ্বেষ দেখেনি। বেশির ভাগ মানুষ তাকে চাচা বলেই ডেকে থাকেন। সবার কাছে তিনি এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত।
সাবেক ছাত্র লীগ নেতা বারী জানান, ধানের শীষ প্রতীক না থাকার কারনে সারা দেশেই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল।যদি ধানের শীষ প্রতীক থাকত তাহলে নৌকার বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিতেন না। আর এই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন চাচা উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান হয়ে জনগণের মাঝে তেমন ভাবে যেতে পারেনি। আর বাবু চৌধুরী জীবন টাই শেষ করে দিয়েছে রাজনীতি করে। আর ইউপির আপামর জনতা বাবু চৌধুরীর দিকেই চেয়েছিলেন। এজন্যই সবাই তার জন্য আন্তরিকতার সাথে ভোটে কাজ করেছিলেন এবং তিনিও সাব জানিয়েছিলেন,আমি যদি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারি তাহলে জনতার জন্য সবকিছু করতে রাজি।আমার পরিষদ হবে জনতার পরিষদ। পরিষদ থাকবে আপামর জনগণের জন্য। তার অনেক প্রতিফলন দেখা যায় দায়িত্ব গ্রহণের দিন।ওই দিন দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।এমনকি সকল ধরনের সেবা পাচ্ছেন নাগরিকরা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের এবং কলমা ইউপির অন্যতম নেতা রেজাউল জানান, আমিও এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জন্য দলীয় ফরম উত্তোলন করেছিলাম। নৌকা যদি বাবু চৌধুরী পেত আমার দৃড় বিশ্বাস কেউ তার বিরুদ্ধে যেত না। কিন্তু এমন এক ব্যক্তিকে নৌকা দেওয়া হল যার কোন অবস্হান নেই। এধরনের ক্ষোভ ছিল ইউপি বাসীর ভিতরে। যার প্রতিফলন ঘটে ভোটের মাধ্যমে। বাবু চৌধুরীও বলেছিলেন আমি রাজনৈতিক সম্প্রীতি বজায় রেখে ইউনিয়ন পরিষদ করতে চায়। যার কারনে সকল ধরনের সেবা বা সনদ বিনা খরচে হয়রানি ছাড়াই পেয়ে যাচ্ছেন জনগণ।
ইউপির সিনিয়র বেশকিছু নাগরিকরা জানান, আমাদের বিশ্বাস ছিল বাবু চৌধুরী চেয়ারম্যান হলে দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে পরিষদ এবং সেবার কোন ত্রুটি থাকবে না।কোন জনগনকে যেন হয়রানির শিকার হতে না হয়।তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যেখানেই সমস্যা সেখানেই বাবু চৌধুরী। তার জীবনের একটা স্বপ্ন ছিল কলমা ইউপির চেয়ারম্যান হওয়ার।মহান আল্লাহর ইচ্ছা এবং জনতার ঐক্যবদ্ধতার জন্য তিনি চেয়ারম্যান। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি যে ভাবে সেবা দিচ্ছেন তাতে ইউপির জনগন প্রকৃত একজন সেবক পেয়েছেন। অতীতে কখনো এমন প্রতিনিধি কলমা বাসীর ভাগ্যে জুটেনি। আসা করছি তিনি দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় এভাবেই সেবা করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। যেহেতু নানা চ্যালেন্জ মোকাবিলা করে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। যার কারনেই তিনি জনতার চেয়ারম্যান হয়েছেন। আমরাও আশা করব তিনি যতদিন এই দায়িত্ব পালন করবেন এভাবেই যেন কাজ করে যান।
ইউপি সদস্য সহিদুল জানান,আমি প্রথম বারের মত সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। চেয়ারম্যান যেভাবে সেবা দিচ্ছেন এবং আমাদেরকেও নির্দেশ দিয়েছেন কোন ধরনের অনিয়ম পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেওয়া হবে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক আমরাও কাজ করছি।
আরেক হেট্রিক সদস্য সেকান্দার আলী জানান, আমিও দীর্ঘদিন এই পরিষদের মেম্বার হিসেবে কাজ করেছি।আমি অন্য দলের এজন্য অতীতে তেমন কিছুই পায়নি।তবে আশা করছি এবারে এমন হবেনা।কারন চেয়ারম্যান দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করতে চান। অবশ্য তার অনেক নমুনা দেখা যাচ্ছে।
কলমা ইউপির যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক মোজাম বলেন, আমরা এমন একজন চেয়ারম্যান পেয়েছি, যার জীবনে কোন অনিয়ম, মানুষের সাথে খারাপ আচরণ দেখিনি।তিনি একজন ক্লীন ইমেজের রাজনীতি বীদ। বাবু চৌধুরী প্রতিটি মুহূর্ত চিন্তা করেন ইউপির জনসাধারণ কে নিয়ে। তার একটাই ভাবনা কিভাবে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তৃনমুল পর্যায়ে কিভাবে পৌছানো যায়। বিশেষ করে বিভিন্ন
চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী বলেন, আমাকে সর্বস্তরের জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমিও তাদরকে বলেছি রাজনীতির জায়গায় হবে রাজনীতি, পরিষদ চলবে পরিষদের মত।আমার রাজনীতির শেষ সময়ে কলমা বাসী যে উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান করেছেন, আমি সবকিছু উজাড় করে ইউপি বাসীর সেবা করে যেতে চাঁন তিনি বলে জানান।