ডিমলায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২১ ফেব্রæয়ারী ২০২২ উপলক্ষে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাত ১২ টা ১ মিনিটে ডিমলা উপজেলা প্রশাসনসহ সকল রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, ডিমলা থানা পুলিশ, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপজেলা বিজয় চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে এবং সকল শহীদের প্রতি মোনাজাত করে। এছাড়াও ২১ ফেব্রæয়ারী (সোমবার) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলার সকল সরকারী ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ভাবে উত্তোলন ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি প্রভাতফেরী র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে ডিমলা বিজয় চত্তরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
পরে শহীদ মিনারের পাদদেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংসদ সদস্য (ডোমার-ডিমলা) নীলফামারী -১ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন সরকার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ইবনুল আবেদীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌস পারভেজ, ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্র নাথ রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ আয়েশা সিদ্দিকা, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ওসি তদন্ত বিশ্বদেব রায়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান, পিআইও অফিসার ফেরদৌস আলম, ৩নং ডিমলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরকার, বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এএইচএম ফিরোজ সরকার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ডিমলা উপজেলার আহবায়ক আবু সায়েম সরকার, ডিমলা সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোকলেছুর রহমান সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আলোচনা শেষে বাবুরহাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেনী ভেদে শিশু-কিশোদের চিত্রাংকন এবং ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর আলোকে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ জোহর নামাজ শেষে উপজেলার বিভিন্ন ধর্মী প্রতিষ্ঠানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।