ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি, রবিশস্যর ক্ষতির আশঙ্কা।
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে আলুসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কায় কৃষক পরিবার। সোমবার ২১ (ফ্রেরুয়ারী) বিকেল সাড়ে চার’টার সময় এ অঞ্চলে হঠাৎ মাঝারি আকারের শিলাবৃষ্টি শুরু হয়।
জেলার রুহিয়া থানার রাজাগাঁও, সেনুয়া বড়গাঁওসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এতে আম গাছের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, ফাল্গুন মাসে পিয়াজ, রসুন, আলু, সরিষা, গম ও আলু উত্তোলনের মৌসুম শুরু হয় সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে। এ সময় পিয়াজ, রসুন, আলু, গম, সরিষা, শীম, মিষ্টি কুমড়া, ভুট্টাসহ নানান রবি শস্যে ডুবে থাকে চাষাবাদের জমি। বর্তমানে এসব ফসল ঘরে তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা। এমন সময় সোমবার বিকেলে হঠাৎ জেলার আকাশ কালো মেঘে ছেঁয়ে যায়। শুরু হয় মেঘের গর্জন। এরপর মাঝারি আকারের শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। চলে দীর্ঘ সময়।
তবে জেলার রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জ উপজেলায় শিলাবৃষ্টি হয়নি। রুহিয়া থানার কয়েকটি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি করেছে শিলাবৃষ্টি। ফসল ঘরে তোলার এ মৌসুমে শিলাবৃষ্টিতে আলু, গম, সরিষা, মিষ্টিকুমড়া, শিম, ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষিরা।
ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়া, ভুল্লি, ঢোলারহাটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে শিলা বৃষ্টিপাত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানান কৃষকেরা। এ অঞ্চলে শিলাবৃষ্টির আকার ও স্থায়ীত্ব ছিল তুলনামূলক দীর্ঘ।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতরের রুহিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তপন কুমার বলেন, ক্ষেত পরিদর্শন না করে ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণ করা কষ্টকর। তবে ফাল্গুন মাসে শিলাবৃষ্টিতে আলু, সরিষা, গমসহ মাঠে থাকা নানান জাতের সবজির ক্ষতির আশংকা রয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সবজি, সরিষা আর গম ক্ষেত। আলু ক্ষেতে পানি জমে গেলে তা দ্রুত নিস্কাশনের পরামর্শ দেন তিনি