চামারী ইউনিয়ন বাসীর খাদেম হয়ে কাজ করতে চাই-চেয়ারম্যান স্বপন মোল্লা।
নাটোরের সিংড়ার চামারী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান স্বপন মোল্লা বলেছেন, এক জন চেয়ারম্যান হিসাবে নয় চামারী ইউনিয়নবাসীর আগামী ৫ বছর একজন খাদেম হয়ে কাজ করে যাবো।
বৃহষ্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টায় চামারী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে নবর্নিবাচিত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সংবর্ধনা,পরিচতি সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি এই কথা বলেন। স্বপন মোল্লা বলেন, আমার পরিবার মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। আমার পরিবার আওয়ামীলীগের পরিবার। বিগত ২শত বছরের ইতিহাস। আমার ৩ পুরুষের ইতিহাসে আমার পরিবারে কোন পদ পদবীর প্রয়োজন হয়নি। আমরা পাই নাই। আমাদের দেওয়া হয় নাই। গত ২৬ ডিসেম্বর মানুষের ভালোবাসায় আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে আজকে আমাকে এই চেয়ারে যে সম্মান দিয়েছেন আমি যেন সেই সম্মান ধরে রাখতে পারি।
এসময় স্বপন মোল্লা বলেন, বিগত দিনের কালো অধ্যায় রুখতে হবে। নতুন সূর্যের আর্বিভাব ঘটাতে হবে। আমি আমার পরিষদের সকল মেম্বরদের বিনয়ের সাথে অনুরোধ করবো। দায়িত্বে অবহেলা না করে মানষের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। বিগত ৫ বছরের ভুল সংশোধন করে আজ থেকে আগামী ৫ বছরের জন্য শপথ গ্রহন করতে হবে। কোন দুর্নীতি করা যাবে না। র্কাড বেঁচা যাবে না।
গরীবের হক যদি এদিক ওদিক হয় আমি নিরকন্ঠে বলতে পারি সেদিন থেকে আপনার সাথে আমার সর্ম্পক শেষ হয়ে যাবে। আমার পিতা হন আর আমার ভাই হন সাবধান হয়ে যান। আমি ন্যায়ের পক্ষে এসেছি। ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করে এই পরিষদ থেকে বিদায় নিবো ইনশা আল্লাহ। চামারী ইউনিয়নকে মাদক মুক্ত করে একটি ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলবো এটা আমার চ্যালেঞ্জ। আপনারা আমাকে ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিপক্ষে সৎ সাহস দিয়ে পাশে থাকবেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নাটোর জজর্কোটের জিপি এড. আসাদুল ইসলাম আসাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন প্রমুখ। এর আগে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন পরিষদের সচীব মোঃ বাবর আলী।
এসময় ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মহিষমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলীম,চামারী বিএম কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম, চককালিকাপুর টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের সহকারী শিক্ষক শামসুল আলম ও জহুরুল ইসলাম,মুক্তিযোদ্ধা সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রাজু আহমেদ। অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ পরিচালনা করেন, হাফেজ মোঃ আব্দুল হামিদ।