দেওয়ানগঞ্জে আফ্রিকান মাগুর মাছ উদ্ধার ও জরিমানা।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী পিআইসি’র আওতাধীন ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘারচর ব্যাপারি পাড়া অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মণ আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ করেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অহনা জিন্নাত।
আজ সোমবার ১৪ফেব্রুয়ারি ২০২২ অভিযান পরিচালনা করেন দেওয়ানগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) অহনা জিন্নাত এর নেতৃত্বে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শফিউল আলম, ডাংধরা ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন, সানন্দবাড়ী পিআইসি’র পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জোয়াহের হোসাইন খান, এস আই তরিকুল ইসলাম সহ পুলিশ টিম।
জানা যায়, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ রাক্ষুসে আফ্রিকান মাছ, আমদানি করে আসছিলো আঃ করিম পিং নেছার উদ্দিন, আঃ রশীদ পিং শামসুল হক, আঃ খালেক পিং কাচ্চু আলী, আবু বক্কর পিং শেখ আহমেদ, সর্ব সাং বাঘারচর ব্যাপারি পাড়া। তাদের আমদানি কৃত প্রায় ৫০ মণ আফ্রিকান মাগুর জব্দ ও আঃ রশীদ পিং শামসুল হককে আটক করেন। পরে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে জব্দ কৃত আফ্রিকান মাগুর গুলো কয়েকটি এতিম খানা ও মাদ্রাসার গরীব ছাত্রদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়।
২০১৪ সালের জুন থেকে বাংলাদেশে আফ্রিকান মাগুরের আমদানি, উৎপাদন, বিপননের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস রুলস ১৯৮৫ এর কয়েকটি ধারা সংশোধন করে আফ্রিকান মাগুরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ ছাড়াও বিদেশ থেকে আফ্রিকান মাগুর ও পিরানহা মাছ, মাছের রেনু ও পোনা আমদানি করলে জেল জরিমানার বিধান রেখে মৎস্য সংঘ নিরোধ আইন-২০১৭ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রী পরিষদ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অহনা জিন্নাত বলেন- আমরা খবর পেয়েছি ৬০ মণ এর অধিক নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর আমদানি করে এলাকার হাট বাজার গুলোতে বিক্রি করছে একটি চক্র। আমরা অভিযান চালিয়ে সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি, একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছি ও জব্দ কৃত আফ্রিকান মাগুর গুলো এলাকার এতিম খানা এবং মাদ্রাসার গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে আবারও এসব মাগুর আমদানি করলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আঃ রশীদের স্ত্রী রশেদা বেগম মৌখিক অভিযোগ করেন, তার স্বামীকে হাতকড়া পড়ালে দৌড়ে ম্যাডামের পায়ে পরলে সানন্দবাড়ী পিআইসি’র পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জোয়াহের হোসাইন খান তাকে থাপ্পড় মেরে সরিয়ে দেয়।
এব্যাপারে সানন্দবাড়ী পিআইসি’র পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জোয়াহের হোসাইন খান এর নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন- আমি থাপ্পড় দেইনি আমি তাকে সরিয়ে দিয়েছি। তারা এটা মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।
Post Views: 834