বাঘায় ভূ-গর্ভাশায়ন পদ্ধতিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে কৃষিদপ্তর।
রাজশাহীর বাঘায় ভূ-গর্ভাশায়ন পদ্ধতিতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ভূপৃষ্টের অতিরিক্ত পানি ভূ-অভ্যন্তরে সংরক্ষণ করে ফসল ফলানোর ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন উপজেলা কৃষিদপ্তর। স¤প্রতি বাঘা উপজেলায় ফসলের মাঠে এমন পদ্ধতি ব্যবহার করে ফসল ফলানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সরেজমিন সোমবার( ১৪ ফেব্রæয়ারী) দুপুরে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের তেঁথুলিয়া ও কামারপাড়া এবং বাজুবাঘা ইউনিয়নের নওটিকা,আমোদপুর ও তেপুকুরিয়া মাঠে বিলে গিয়ে দেখা গেছে কয়েক বছর ধরে জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতা নিরসনে মাঠের পানি মাটির তলদেশে নামানোর জন্য পাইপ বসানোর কাজ চলছে। এটি বাস্তবায়ন করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান। ধারনা করা হচ্ছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে প্রায় দুইশ বিঘা অনাবাদি জমি বোরো ধান আবাদে পরিনত হবে।এতে করে উপকৃত হবেন ত্র অঞ্চলের কৃষক।
কৃষক বয়েজ উদ্দিন বলেন, এ মাঠে মাটি আগে বোরো ধানের আবাদ করেছি। বর্তমানে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের ফলে এলাকার প্রায় দুই‘শ বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা কারণে কোন ফসল পারছি না।
স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবগত করা হলে বিভিন্ন এলাকার মাঠের জলাবদ্ধতা জমিগুলো পরিদর্শন করেন তিনি। তিনি পরিদর্শন শেষে চারটি স্থানে পাইপ বসানো উদ্যোগ নেন। সেই উদ্যোগর মাধ্যমে ভূপৃষ্টের অতিরিক্ত পানি ভূ-অভ্যন্তরে সংরক্ষণ অনুরুপ পরবর্তীতে সেই পানি খরা মৌসূমে সেচ কাজে ব্যবহার করেও ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। সেটা বাস্তবায়ন হতে চলেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। বর্তমান সরকার কৃষিখাতে ব্যাপক পরিমান ভুর্তুকি দিচ্ছেন। যাতে করে বাংলাদেশ কৃষিতে সমৃদ্ধশালী উন্নত দেশে পরিনত হয় । সেই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে যে উদ্যোগটি নিয়েছি এটিকে বলা হয় “ভূ-গর্ভাশায়ণ’’। উন্নত দেশে এ ব্যবস্থা চালু আছে। দেশেও কোন-কোন এলাকায় এ ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
তাঁর মতে, এই প্রযুক্তিতে খরা প্রবণ এলাকায় বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে জমা রেখে শুষ্ক মৌসুমে এ পানির ব্যবহার করা যাবে এবং জলাবদ্ধ এলাকার অতিরিক্ত পানি ভূগর্ভে রিচার্জ করে জলাবদ্ধ এলাকার জমিতে ফসল ফলানো উপযোগী করাসহ লবনাক্ত এলাকায় বর্ষা মৌসুমে পানি ভূগর্ভে রিচার্জ করে শুষ্ক মৌসুমে সেচকাজসহ সুপেয় পানি হিসেবেও পান করা যাবে।
Post Views: 491