আড়ানির রেললাইন মেরামতের দুই ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী বড়াল নদীর ব্রিজের পশ্চিম দিকে ভাঙা রেললাইন মেরামতের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটিসহ সব ট্রেন দুই ঘন্টা চলাচল বন্ধ ছিল।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় আড়ানী স্টেশন এলাকার বড়াল নদীর ব্রিজের পশ্চিম দিকে প্রায় ৯ ইঞ্চি রেল ভাঙা দেখতে পাওয়ার পর লাল কাপড় দিয়ে সংকেত দেই রেলওয়ের অস্থায়ী গেটম্যান লায়েব উদ্দিন।
আড়ানী-পুঠিয়া সড়কের রেলের অস্থায়ী গেটম্যান লায়েব উদ্দিন জানান, এই ঘটনার আগে রাজশাহী থেকে একটি মালবাহি ট্রেন আড়ানী বড়াল নদীর ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচলের সময় বিকট শব্দ হয়। সেই শব্দ শুনে সেখানে গিয়ে দেখেন, বড়াল নদীর ব্রিজের পশ্চিম দিকে প্রায় ৯ ইঞ্চি রেল ভাঙা। তাৎক্ষনিক তিনি লাল কাপড় উড়িয়ে সংকেত দেন। এ সময় পার্বতীপুর থেকে রাজশাহী গামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আড়ানী স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে। ঘটনাস্থল এলাকায় পৌঁছার আগে ট্রেনটির চালক ভাঙা স্থান থেকে ৫০০ মিটার দূরে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। এতে রক্ষা পায় ট্রেনের যাত্রীরা।
বড়াল ব্রিজ এলাকা রেল রক্ষনাবেক্ষণকারি সেলিম হোসেন (কীম্যান) বলেন, আড়নী বড়াল ব্রিজ এলাকা দায়িত্বে আছি। ওই সময় একটি মালবাহি ট্রেন গেলে বিকট শব্দ হয়। তারপরে রেলের অস্থায়ী গেটম্যান ও আমি এগিয়ে গিয়ে দেখি রেল ভাঙ্গা। তার কিছুক্ষণের মধ্যে রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসছে দেখে লাল কাপড় উড়িয়ে ট্রেনটি থামিয়ে দেওয়া হয়।
আড়ানী রেল স্টেশন মাষ্টার সদরুল আলম জানান, রেললাইন ভাঙা দেখতে পায় আড়ানী-পুঠিয়া সড়কের রেলের অস্থায়ী গেটম্যান লায়েব উদ্দিন। বিষয়টি তাঁকে অবগত করার আগেই রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস আড়ানী স্টেশন ছেড়ে চলে যায়। এ সময় লায়েব উদ্দিনসহ স্থানীয়রা লাল কাপড় উড়িয়ে ভাঙা স্থান থেকে ৫০০ মিটার দূরে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেয়। ভাঙা স্থান মেরামতের দুইঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ট্রেনটিতে প্রায় তিন শতাধিক যাত্রী ছিল বলে জানান এই রেল মাষ্টার।