লক্ষ্মীপুরে জন্মের ৩৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন,পুরস্কৃত ১৮ শিশু।
জন্মের ৩৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করায় নগদ টাকা ও গাছের চারা উপহার পেয়েছে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৮ জন শিশু। পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়ার পক্ষ থেকে শিশুদের পুরস্কৃত করা হয়।
সোমবার (৭সাত ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুদের অভিভাবকদের হাতে একটি বনজ গাছ ও নগদ ৫শ টাকা তুলে দেন লক্ষ্মীপুর-রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন-লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন পাঠান,পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, পৌর সচিব মো. আলাউদ্দিন,সাবেক ছাত্রনেতা নজরুল ইসলাম ভুলু, মাহমুদুন নবী সোহেল, পৌর ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল খায়ের স্বপন, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুর রহমান আলমগীর, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
বিষয়টিতে সাধুবাদ জানিয়েছেন আমন্ত্রিত অতিথি এবং পৌর বাসিন্দারা।
পৌর মেয়র মাসুম ভূঁইয়া বলেন, জন্মের পর অনেক শিশুর অভিভাবকরা জন্ম নিবন্ধন করতে গড়িমসি করে। বয়স বেড়ে গেলে নিবন্ধন করাতে বিভিন্ন বেগ পেতে হয় এবং হয়রানির শিকার হতে হয়। কিন্তু জন্মের ৩৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করলে কোনো ঝামেলা থাকে না। তাই অভিভাবকরা যাতে জন্মের পরপরই তাদের নবজাতকের (শিশু) জন্ম নিবন্ধন করান সে জন্য আমার পক্ষ থেকে শিশুদের জন্য ৫শ টাকা এবং বীমা স্বরূপ একটি গাছের চারা উপহার দিচ্ছি। শিশুটি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছও বড় হবে। ভবিষ্যতে গাছটি তার কাজে আসবে।
তিনি আরও বলেন, এই কয়েকদিনের মধ্যে ১৮ জন শিশুর অভিভাবক তাদের জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। তাই তাদের উপহারের আওতায় আনা হয়েছে। যে সব শিশু ৩৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের আওতায় আসবে, তাদের প্রত্যেককে এই উপহার দেওয়া হবে। নিবন্ধন করাতে তাদের কোনো ধরনের ফি দিতে হবে না। শিশু আরিয়া জয়নব পাঠানের বাবা একেএস সালা উদ্দিন পাঠান বলেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। হয়রানি ছাড়াই আমার ছেলের জন্ম নিবন্ধন করাতে পেরেছি। একই সঙ্গে উপহারও পেলাম। এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় পৌর মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি