ছাতকে জালালপুর থেকে দোলারবাজার হয়ে লামা-রসুলগঞ্জ পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচলের জন্য একটি মাত্র রাস্তা। লামা-রসুলগঞ্জ শেষে সংযুক্ত হয়েছে জগন্নাথপুর উপজেলার সড়কের সাথে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়,সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জালালপুর নামক ওই সড়কের প্রবেশ পথে রত্না নদীর উপর একটি কালভার্ড রয়েছে। ওই কালভার্ডটি ভেঙ্গে নতূন কালভার্ড নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ভাঙ্গার কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আকবর আলী। কিন্তু যানচলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা নির্মাণ না করে কালভার্ড ভেঙ্গে মানুষের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। বৃষ্টি নামা শুরু হলে রত্না নদী নামের ওই খাল পাড়ি দিয়ে মানুষ পায়ে হেটে চলাচলে চরম দূর্ভোগ পুহাতে হবে। অসুস্থ একজন রোগি নিয়ে ওই পথে চলাচল করা সম্ভব হবে না। এতে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। বিকল্প রাস্তা না করায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এমন আচরণে তারা ক্ষুব্ধ। তাই তারা কালভার্ড ভাঙ্গা বন্ধ করে আগে মানুষ চলাচলের বিকল্প রাস্তা তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবুল মনসুর মিয়া আমারজমিনকে জানান, প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আরসিসিসহ ১০ কিলোমিটার সড়কের কাজ পেয়েছে মেসার্স আকবর আলী নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
জালালপুরের কালভার্ড ভাঙ্গার আগে বিকল্প রাস্তা তৈরি করার কথা রয়েছে।যাতে মোটরসাইকেল, রিক্সাসহ ছোট যানবাহন পারাপার হতে পারে। তিনি আরও জানান দুই মাসের মধ্যে এ কালভার্ডটির নির্মাণ কাজ শেষ করার কথাও রয়েছে। বিকল্প রাস্তা তৈরি করে নাই বিষয়টি জানাছিলো না। আমি প্রতিষ্ঠানটিকে অনতিবিলম্বে বিকল্প রাস্তা তৈরি করার জন্য বলে দিব।