বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের কুরমাঘাট এবং ভারতের কমলপুর সীমান্ত এই হাটের ভিত্তি স্থাপনের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি এমপি ও ভারতের ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই হাটের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যেরও উন্নতি হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সীমান্তবর্তী মানুষ হাতের নাগালে পাবে। সীমান্তে চোরাচালান কমে আসবে। স্থানীয়রা নানা পণ্য হাট থেকে কিনতে পারবে। এতে দু-দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বও বাড়বে। এছাড়া পর্যটনের ক্ষেত্রেও প্রসারতা লাভ করবে।
ভারতের ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, যখন সীমান্তের দুইদেশের পন্য গুলো খোলা বাজার হয়ে যাবে তখন চোরা চালান বন্ধ হয়ে যাবে। মাতৃতুল্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃতী বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সব সেক্টন এগিয়ে যাছে। আজকের এই দুই দেশের যে লাভবান হবে দুই দেশের যে সু-সম্পর্ক সাংকেতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে।
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমাঘাট এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলই জেলার কমলপুরে এ ই সীমান্ত হাট। হাটটি চালু হলে বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন অধিবাসীরা উপকৃত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানি ও রপ্তানির মাধ্যমে লাভবান হবে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা।
আনুষ্ঠানিক ভিক্তি প্রস্তর স্হাপন অনুষ্ঠানে আরও অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন ভারতের ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী মনোজ কুমার দেব,বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড.মো আব্দুস শহীদ এমপি,দু’দেশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দগণ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে দুই দেশের নোম্যান্স ল্যান্ডে ২৭২ শতক ভুমিতে কুরমাঘাট-কমলপুর বর্ডার হাট নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশী টাকার হিসাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। ১৮ টি পণ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যা এই বাজারে কেনা বেচা হবে। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার তিনঘন্টার জন্য এই হাট বসবে। ২০২৩ সালে এই হাট চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সীমান্ত এলাকায় বৈধ বাণিজ্য নিশ্চিতে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করেছিল সীমান্ত হাট কার্যক্রম। সীমান্ত হাটের প্রথম যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের জুলাই মাসে কুড়িগ্রাম জেলার বালিয়ামারি সীমান্তে সোনাভরি নদের তীরে। উদ্দেশ্য ছিল সীমান্তের দুই পাড়ের মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে চাঙ্গা করে একদিকে তাদের জীবিকার সংস্থান করা এবং অন্যদিকে তাদের জীবন যাত্রার মানের উন্নয়ন। এর আর একটি উদ্দেশ্য ছিল দুদেশের মানুষের মধ্যে সমপ্রীতি, ভালোবাসা এবং ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা।