ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোন ধরণের অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়াই সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকাল ৮ টা থেকে শুরু করে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরামহীন ভাবে ভোট গ্রহন করা হয়। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধুতিতে ভোট গ্রহন কারায় কিছু কিছু কেন্দ্রে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন করা হয়েছে। বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ভোটাররা দির্ঘ লাইনে দাড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ৭২টি ওয়ার্ডের ৭৮টি ভোট কেন্দ্রে ৪২৯টি বোথে সকাল ৮ টা থেকে এক যোগে ভোট গ্রহন শুরু হয়।
কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে ঘুড়ে দেখা গেছে, দির্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ভোটারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। ইভিএম পদ্ধুতিতে ভোট গ্রহনেও কিছুটা সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। দির্ঘ লাইন থাকায় কয়েকজন ভোটার ভোট না দিয়ে চলে যেতে দেখা গেছে। কয়েকেটি কেন্দ্রে বিকাল ৪টার পরও লাইনে দাড়িয়ে থাকা ভোটারদের ভোট গ্রহন করা হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো উপজেলা আইন শৃঙ্কলা বাহীনির নিরাপ্তায় ঢাকা ছিলো।
চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন যারা,উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে উমরপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে এমজি গোলাম কিবরিয়া পয়েছেন ৪২২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধি মোটর সাইকেল প্রতীকে আব্দুল হেকিম পেয়েছেন ৪২২৬ভোট। ৩ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন এমজি গোলাম কিবরিয়া।
পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতিকের গোলাম রব্বানী চৌধুরী সুমান পেয়েছেন ২৪৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতি প্রতিদ্ধন্ধি নৌক প্রতীকে আব্দুল হান্নায় পয়েছেন ২৪৬৮ ভোট। ১১ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত গোলাম রব্বানী চৌধুরী সুমান।
গোয়ালাবাজার ইউনিয়নে নৌকা প্রথীকে পীর মজনু মিয়া পেয়েছেন ৬০৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধি আতাউর রহমান মানিক ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭৬৪ ভোট। ১৩২০ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন পীর মজনু মিয়া।
বুরুঙ্গা বাজার ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আখলাকুর রহমান পেয়েছেন ৩৪৪৬ ভোট। তার তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধি মোজাহিদুল আহমদ আনারস প্রতীকে পয়েছেন ২০০১ভোট।১৪৪৫ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আখলাকুর রহমান ।
সাদিপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে শায়েদ আহমদ মুছা পেয়েছেন ৮৬৮৪ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী গোলাম কিবরিয়া ঘোড়া প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৫৫৬৯ভোট। ৩১১৫ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন শায়েদ আহমদ মুছা।
তাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকে অরুনোদয় পাল ঝলক পেয়েছেন ৮৩৬৮ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধি নৌকা প্রতীকে ফয়ছল হোসেন সুমন পেয়েছেন ৩৬৬১ভোট। ৪৭০৭ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন অরুনোদয় পাল ঝলক।
উসমানপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের ওয়ালি উল্যা বদরুল পেয়েছে ৬০৬৬তার তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধি আব্দুল্লাহ মিছবা মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮০৫ভোট। ২২৬১ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ওয়ালি উল্যা বদরুল।
দয়ামীর ইউনিয়নে মোটর সাইকেল প্রতিকে(বিএনপি সমর্থিত)এসটি এম ফখর উদ্দিন পেয়েছেন ৫৩০৬ভোট। তার তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধি নুরুদ্দিন আহমদ নুনু আনারস প্রতীকে পয়েছেন ৫২১৫ ভোট। ৯১ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন এসটি এম ফখর উদ্দিন।
সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার তাজপুর ডিগ্রী কলেজে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিবেশন কেন্দ্র থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা বেসরকারী ভাবে এই ফলাফল ঘোষনা করেন। উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ৩৪জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।