সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার ১৭ বছর আজও বিচার হয়নি। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বদ্যের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ২০০৫ সালের ২৭ শে জানুয়ারি আওয়ামী লীগের এক জনসভা শেষে গ্রনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও তার ভাতিজা মঞ্জুরুল হুদাসহ পাঁচ নেতাকর্মী নিহত হন। এতে আহত হন হবিগঞ্জ-৩ আসনের বর্তমান সাংসদ অ্যাডভোকেট আবু জাহিরসহ ৭০ জন। পরে ওই দিন রাতেই জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক, বর্তমান হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খাঁন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
কিন্তু ১৭ বছরেও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার বিচার কাজ সুরাহা হয়নি। ঘটনার তদন্ত করতেই কেটে যায় প্রায় ১০ বছর। তিন দফায় এ মামলার তদন্ত করে সিআইডি। সর্বশষ ২০১৪ সালের ১২ই নভেম্বর সিলেট রেঞ্জের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল। সেই থেকে বিচার কাজের অগ্রগতি বলতে রাষ্ট্রপক্ষের ৪৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
এ মামলায় মোট ১৭১ জন সাক্ষী। এর মধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। একই ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায়ও ২০২০ সালের ২২ শে অক্টোবর চার্জ গঠন করা হয়। বিচারকাজ ধীরগতি প্রসঙ্গে পিপি সরোয়ার আহমদ জানান, আদালত থেকে ৫জন করে পর্যায়ক্রমে সাক্ষীর সমন দেয়া হচ্ছে। জবানবন্দি ও জেরার পরে পরবর্তী সমন দেয়া হয়। বর্তমান স্বাক্ষীদের সমন পন্ডিং আছে। আগামী ২৩ শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ইং পরবর্তী সাক্ষীর জন্য তারিখ ধার্য্য আছে।
এ সময় তিনি আরো জানান, এ মামলার আসামিদের মধ্যে তিনজনের ইতোমধ্য অন্য মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। এরা হচ্ছে মুফতি আবদুল হান্নান, শরীফ সাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপন। এদিকে মামলার অন্যতম আসামী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরীও মারা গেছেন বলা শোনা যাচ্ছে। কিবরিয়া পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিচার ও পুলিশের অনেক গুরুত্বপুর্ণ সাক্ষী মামলার সাক্ষী না দেয়ায় বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। উল্লেখ্য মোট ১৭১জন সাক্ষীর মধ্য ২জন সংসদ সদস্য, ৭জন ম্যাজিষ্ট্রেট, ৩ জন ডাক্তার ও ১৩জন পুলিশ সাক্ষী রয়েছেন।
Post Views: 173