দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পলিথিন পুড়িয়ে পেট্রল, ডিজেল, এবং মিথেন গ্যাস তৈরীর খবর আমরা হরহামেশা জানলেও এই প্রথম রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার দিঘা গ্রামে মো. বজলুর রহমানের তৈরী প্রেট্রল এলাকায় বেশ সাড়া জাগিয়েছে।
নিজের শখের বশে ইউটিউব দেখে সে এই অসাধ্য কাজটা করেছেন। পেশাগতভাবে সে একজন ভ্রাম্যমান রাইসমেল পেটলার। শিক্ষাগত যোগ্যতা তার একেবারেই নেই , তবে আছে তার অদম্য সৃষ্টির কৌতুহল। ফলে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্ঠায় সে ই্উটিউব দেখে এই কাজের সফলতা পেয়েছেন ।
তার সাথে কথা বলে জানা যায়, পাঁচ সদস্যের পরিবারে সে ২ সন্তানের জনক। বড় সন্তান সুমাইয়া আক্তার এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং ছোট সন্তান তুষার আহমেদ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত। মূলতঃ বজলুর রহমান একজন দিন মজুরে। একমাত্র সম্বল তার ভ্রাম্যমান রাইসমিল। বর্তমানে তেলে দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়াই পেশাকে ধরে রাখতে তাকে দারুন হিমশিম খেতে হচ্ছে এমতাবস্থায় তার মাথায় আসে এমনই এক উদ্ভট চিন্তা আলাপ সাপেক্ষে পাশের কতিপয় ইউটিউবকারীদের কাছে গল্প শুনে তার ভিতর কল্পনা জাগে ।
বজলুর রহমান বলেন, ৫ কেজি পরিত্যাক্ত পলিথিন কুড়িয়ে একটি ড্রামরে মধ্যে একত্রে পুড়িয়ে ৬০০ থেকে/৭০০ গ্রাম পেট্রল ও ডিজেল তৈরী করেছে তবে তার ধারনা এই কাজটি আর একটু সময় দিয়ে শিখতে পারলে ১ লিটারের মত তেল পাওয়া যেতে পরে। তবে গ্যাস ধরার কোন সহজ উপায় না থাকায় তিনি সরকার কিংবা দাতব্যমহলের কাছে তার আবেদন গ্যাসকে সংরক্ষনের জন্য যে সকল যন্ত্রপাতি দরকার হবে তার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ লক্ষ্য টাকা। তার মতে এরকম কর্মকান্ডে সরকার সাহায্য করলে দেশের জ্বালানি তেল এবং গ্যাসের ব্যবহার অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব।
নষ্ট পলিথিন এবং প্লাষ্টিক পরিবেশের জন্য হুমকি। যা মাটিতে থাকলে মাটির গুণাগুণ নষ্ট করে আবার আগুনে পোড়ালে পারিবেশের ক্ষতিকর অতিরিক্ত কার্বন তৈরি করে। নষ্ট করে পরিবেশের ভারসাম্য। সেই সব পলিথিন বর্জ্য এবং প্লাস্টিক এখন সম্পদে পরিণত করছে বজলুর রহমান। তার এই উদ্ভাবনীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানিয়রা।
Post Views: 165