আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে সিরাজগঞ্জে জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের শাহীকোলা মন্ডলপাড়া গ্রামের কাফি প্রামানিকের। এই প্রচন্ড শীতে দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন তার পরিবার। কাফি শাহীকোলা গ্রামের আব্দুল লতিফ প্রামানিকের ছেলে। দু’দিন আগে রাত ১১টার দিকে বিদ্যুতের শর্টসাকির্টের মাধ্যমে তার ঘরে আগুল লাগে। আগুনে শোবার ঘরসহ তার দু’টি ঘরই পুড়ে যায়। রাস্তা না থাকায় উল্লাপাড়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। গভীর রাত হওয়ার কারনে প্রতিবেশীরাও সময়মতো আসতে পারেনি। পরে তাদে আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা আসলে ততক্ষুনে আগনে পুড়ে তার দু’টি ঘর পুড়ে শেষ হয়ে যায়। পুড়ে যায় তাদের ঘরের রক্ষিত সব আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়। বর্তমানে কাফি দুই ছেলে এবং স্ত্রী নিয়ে প্রচন্ড শীতে তার পুড়িয়ে যাওয়া ঘরের ভিটায় চটের ছাউনি টানিয়ে রাত্রিযাপন করছেন। খুবই কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কাফি প্রামানিকের স্ত্রীর সঙ্গে । তিনি জানান, নেই তাদের কোন সহায় সম্বল। পুড়ে যাওয়া ঘর নতুন করে নির্মাণের কোন সামর্থ তাদের নেই। বাড়ির এই সামান্য ভিটে ছাড়া আর কোন জমি নেই তাদের। দিনমজুরি করে অনেক কষ্টে দু’টি ঘর নির্মাণ করেছিলেন তার স্বামী। আগুনে সে ঘর দু’টিও পুড়ে শেষ হয়ে গেল।
দিনমজুর কাফি জানালেন, তার দু’টি ঘরসহ রক্ষিত খাবার ও শীতের গরম কাপড় চোপর সবই পুড়ে গেছে। প্রতিবেশীরা কিছু চাল ডাল ও দুটি কম্বল দিয়েছে তাদেরকে। এ অবস্থায় মানবেতর ভাবে এখন তাদের দিন কাটছে। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ উপজেলা প্রশাসনের প্রতি তাকে অন্ততঃ একটি ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করে দেবার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজের সঙ্গে যোযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। নিজে গিয়ে তাদের অবস্থা দেখে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।